শুক্রবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » ঢাকা » ভোটের অধিকার হরনের দায়ে গত তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচার হওয়া জরুরী
ভোটের অধিকার হরনের দায়ে গত তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচার হওয়া জরুরী
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, বিশেষ কোন কোটারী স্বার্থে শ্রমিকদেরকে যেমন ব্যবহারের সুযোগ নেই, তেমনি শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য দাবিদাওয়াকে বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে নস্যাৎ করারও কোন অবকাশ নেই। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি এবং মানবিক ও গণতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশী শহীদ হয়েছেন শ্রমজীবী - মেহনতি সাধারণ মানুষ।তারাই সবচেয়ে বেশী আহত হয়েছেন। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারে এই শ্রমজীবী - মেহনতিদের কোন যায়গা হয়নি।এত আত্মত্যাগের পরে গণঅভ্যুত্থান তাদের ক্ষমতায়ন করেনি। তাদের বাঁচার দাবি ও ইস্যুগুলোকে পাশে ঠেলে রাখা হয়েছে।তাদের কথা কারও শোনারও সময় নেই।তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বাঁচার দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কেবল পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পাপ স্খলনের কোন সুযোগ নেই। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ, গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস এবং পতিত সরকারের তল্পিবাহক হিসাবে ভূমিকা রাখার অপরাধে গত তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচার হওয়া জরুরী। নির্বাচন কমিশনের মত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি নষ্ট করার অভিযোগেও তারা অভিযুক্ত। তিনি সাবেক নির্বাচন কমিশনারবৃন্দকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,ভোটের অধিকার না থাকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শ্রমজীবী আপামর জনগণ। তিনি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল আলম নান্নু, আবুল কালাম আজাদ , এমডি ফিরোজ, আবদুল হালিম ভূঁইয়া, আইয়ুব আলী, জামাল সিকদার, নাজমা বেগম, নূরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রিয়েল, সুমন হাওলাদার, সজীব সরকার রতন, মাহবুবুল করিম টিপু, মোঃ ইলিয়াস, আহসান বেলাল, জোনায়েত হোসেন প্রমুখ।
সভার শুরুতে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণ অভ্যুত্থান নিহত ও সাম্প্রতিক বন্যায় প্রান হারানো মানুষদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
প্রতিনিধি সম্মেলনে শ্রমিক আন্দোলন ও সংগঠন সম্পর্কে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।