শনিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » শুরু হলো আলীকদম কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম : দাবি উঠেছে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনের
শুরু হলো আলীকদম কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম : দাবি উঠেছে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনের
হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: আলীকদম কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ০৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে (পান বাজার টাউন হল) ৪৮ জন ছাত্রী এবং ২২ জন ছাত্র মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজের কার্যক্রম শুরুর দিনে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুণ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা, আলীকদম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দে, প্রিন্সিপাল মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন আহমদ।
উপজেলার পান বাজার টাউন হলকে অস্থায়ী ক্যাম্পাস করা হলেও চৈক্ষ্যংমুক্তিযোদ্ধা বাগান বাড়ী এলাকায় ইতিমধ্যে কলেজের জন্য স্থানীয় জনসাধারণ ৮.৫৪ একর জমি দান করেছেন। যেখানে কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পান প্রতিষ্ঠিত হবে। চলতি বছরে সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং এই কলেজ অবকাঠামো নির্মানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ ঘোষনা করেন। খুব শিগ্রই কয়েকটি ধাপে কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো নির্মান কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন।
সভাপতি আরো জানান, বর্তমানে সরকারী মাতামুহুরী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান মানিক এর নের্তৃত্বে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৪ জন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়ে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। খুব শীগ্রই সম্পুর্ণ বিধিমোতাবেক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বান্দরবান জেলার একমাত্র উপজেলা আলীকদম, যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াই দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর অতিবাহিত হয়। এই সময়ে মধ্যে অত্র উপজেলার শিক্ষার্থীরা পাশর্^বর্তি উপজেলা লামা এবং চকরিয়ায় গিয়ে মাধ্যমিক লেভেলে পড়াশুনা করেছে। যা অনেকটা কষ্টসাধ্য ছিলো। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পর আলীকদমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও লালিত স্বপ্ন পুরণ হলো, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় শিক্ষা সচেতন জনসাধারণ।
স্থানীয় তরুন শিক্ষানুরাগী ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ ইউনুছ মিয়া জানান, আলীকদম কলেজ আলীকদমবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তব রুপ। কলেজ প্রতিষ্ঠায় সম্পৃক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সাথে বর্তমানে বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আলীকদমে একটি টেকনিক্যাল কলেজ খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে বেকার যুবকদের সংখ্যা অনেক বেশি। একটি টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্টা করা গেলে কর্মমূখী শিক্ষা প্রভাব বিস্তার করবে। এতে দেশের বেকার তরুন সমাজ বিদেশে অতি সহজেই কর্মসংস্থান করে নিতে পারবে। ফলে দেশের রেমিটেন্স বাড়ানো সম্ভব হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় খাত হবে বৈদেশি কর্মসংস্থান। আমরা সেই লক্ষে খুব দ্রুতই একটি টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেবো।