বৃহস্পতিবার ● ২১ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসি
স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৮ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মিঃ) গাজীপুরে স্কুলছাত্র মামুন হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসি দিয়েছেন আদালত৷
২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ ফজলে এলাহী ভূইয়া জনাকীর্ন আদালতে এ রায় দেন৷
রায়ে প্রত্যেক দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়৷ এছাড়াও আদালত দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জারিমানা প্রদান করা হয়৷
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের হাড়িবাড়ির টেক এলাকার আফজাল হোসেন সরকারের ছেলে জামান সরকার (৩২), একই এলাকার আব্দুল হামিদ ভূইয়ার ছেলে মো. শাকিল ভূইয়া (৩০), তার ভাই ইকবাল হোসেন ভূইয়া (৩২) ও কুড়িগ্রামের রাজার হাট থানার লতাবর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু সায়েম (৩৪)৷ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হাড়ীরবাড়ির টেক এলাকার আফজাল হোসেন সরকার (৬৫), তার ছেলে উজ্জল সরকার (৩৭) এবং একই এলাকার ইদ্রিস আলী খানের ছেলে সুমন খান (৩৮)কে বেকসুর খালাস দেয়া হয়৷
গাজীপুরের অতিরিক্ত পিপি মোঃ আতাউর রহমান খান আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, পূবাইলের হাড়িবাড়ির টেক এলাকার হাসান খন্দকারের মেয়ে রোকসানাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রতিবেশি জামান সরকার৷ রোকসানার পরিবার ওই প্রসত্মাব ফিরিয়ে দেয়৷ এ ঘটনায় জামান সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে হাসান খন্দকারের ছেলে স্থানীয় ভাদুন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মামুনকে (১৫) ২০০৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে কৌশলে নিয়ে যায়৷
এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা হাসান খন্দকার৷ তিন দিন পর ১৩ আগস্ট ওই এলাকার শাহজাহান ভূইয়ার বাড়ির পাশের পায়খানার সেফটিক ট্যাংকের ভিতরে থেকে দুই হাত, দুই পা রশি দিয়ে বাঁধা, গলায় কাপড় প্যাচানো, পঁচা ফুলা এবং চোখ দুইটি উঠানো অবস্থায় মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়৷ এ ঘটনায় ওই রাতে নিহতের বাবা মোঃ হাসান খন্দকার বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় জামান সরকারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন৷
পরে তদনত্ম শেষে সিআইডির পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ ২০০৬ সালের ১১ মার্চ অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন৷ মামলায় ১৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়৷
দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় প্রদান করেন৷ রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আতাউর রহমান খান, আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুর রশীদ৷