সোমবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাউখালী উপজেলায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ১১টি স-মিল
কাউখালী উপজেলায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ১১টি স-মিল
মো. ওমর ফারুক, কাউখালী প্রতিনিধি :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে স’মিল। এসব অবৈধ গড়ে উঠা স মিলের কার্যক্রম দেখার যেন কেউ নেই?
জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক দলের নাম ভাংগিয়ে কিছু নেতা স্থানীয় প্রশাসন কে বৃদ্ধ আংগুলি প্রদর্শন করে এসব অবৈধ স’ মিল স্থাপন করেন।
সমগ্র উপজেলায় অবৈধ স’ মিল সংখ্যা মোট-১১ টি,তার মধ্যে ঘাগড়া ইউনিয়নে মোট - ৫ টি, উপজেলার কচুখালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ৩ নং ঘাগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান থুইমং মারমার স’ মিল, উপজেলা সদরে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিনের স’ মিল, রাঙীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ সরকারের স’ মিল, ঘাগড়া ছেলাছড়ায় ঘাগড়া ইউপির বর্তমান মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা মন্টু মেম্বারের স’ মিল, ঘাগড়া কাপ্তাই বড়ইছড়ি সড়কের পুকুর পাড় নামক স্থানে মো. নুরুল ইসলামের স’ মিল। কলমপতি ইউনিয়নে মোট স’ মিল -১ টি,পোয়াপাড়ায় কলমপতি কাঠ ব্যাবসায়ী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামশু উদ্দিন সামশুর স’ মিল, বেতবুনিয়া ইউনিয়নে মোট স’ মিল ৩ টি,আমতল সিকদার পাড়ায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান স’ মিল, বেতবুনিয়া গুইয়াতলায় বেতবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সেলিম ( সাবেক মেম্বার) স’ মিল, বেতবুনিয়া গুইয়াতলায় বেতবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ নেওয়াজ করিম (মাসুদ) এর স’ মিল। ফটিকছড়ি ইউনিয়নে স’ মিল মোট -২টি। কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম চৌধুরী ( চৌচামং) ডাবুয়া হেডম্যান পাড়ায় তার স’ মিল, বর্মাছড়ি এলাকায় আশুতোষ চাকমার স’ মিল। অবৈধভাবে স্থাপন করে দির্ঘদিন যাবত লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে চলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে খাশখালী ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল গফুর বলেন, কাউখালী উপজেলায় যতগুলি স’ মিল আছে সবগুলিই অবৈধ। কোন স’ মিলের সরকারি কোন লাইসেন্স নেই, কোন স’ মিলের বৈধ কোন কাগজপত্রও নেই। তা ছাড়া এসব স’ মিলের মালিকরা বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি কোন লাইসেন্স না নিয়ে দির্গদিন যাবত এসব অবৈধ স’ মিল গুলি চালিয়ে আসছেন বলে তিনি জানান।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভুমি) মাসুমা আক্তার কনা বলেন, আমরা এসব অবৈধ স’ মিলের বিষয়ে কেন প্রকার ছাড় দিবনা এবং প্রত্যেকটি স’ মিলের সমস্ত কাগজ পত্র দেখবো বলে তিনি জানান এবং তিনি আরো বলন, এসব অবৈধ স’ মিলগুলির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ হতে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় জন বসতিস্থলের পাশে এবং আইনের তোয়াক্কা না করে বিশাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব অবৈধ স’ মিল গড়ে উঠেছে তা বর্তমানে অন্তর্বতীকালিন সরকারের সময় বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যাবস্তা গ্রহনের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান।