

শুক্রবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » খেলা » বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দোকান পরিদর্শনে ক্রীড়া উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দোকান পরিদর্শনে ক্রীড়া উপদেষ্টা
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কোনও সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম কিংবা সংলগ্ন দোকান পরিদর্শন করবেন। আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই সেখানে হাজির তরুণ এই উপদেষ্টা।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বলতে গেলে সেভাবে খেলার পরিবেশ নেই অসংখ্য দোকানের কারণে। সেই দোকান থেকেও আবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ খুব কম রাজস্ব পায়। আজ বিকালে আকস্মিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় ঘণ্টাখানেক ক্রীড়া উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখেছেন, দোকানদারের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছেন। উপদেষ্টা এসেছেন জানতে পেরে ক্রীড়া পরিষদের দুই-তিন জন কর্মকর্তা উপস্থিত হন। আজ উপদেষ্টা প্রাথমিক কিছু ধারণাও পেয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় দোকান পরিদর্শন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমি একটু হালনাগাদটা দেখতে চাইলাম কী অবস্থা। বাস্তবে না এলে অনেক তথ্যের গ্যাপ হয়। আজ প্রাথমিক ধারণা পেলাম।’
প্রাথমিক ধারণায় দোকান ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে ক্রীড়া উপদেষ্টার মনে, ‘সরকারি খাতায় আমরা এই দোকানগুলো থেকে ২৬ টাকা স্কয়ার ফিট হিসেবে ভাড়া পাই। দোকানদাররা ভাড়া দিচ্ছে ২১৭-২২০ টাকা হিসেবে। এত টাকা ভাড়া কাদের দিচ্ছে। আমি তাদের অ্যাগ্রিমেন্ট পাঠাতে বলছি।’
ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা ভাড়া হাতবদলের ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারেন। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘অতিরিক্ত ভাড়াটা কোথায় যায়, কাকে দিচ্ছে- এটা আমাদের বের করতে হবে। এগুলোর সঙ্গে আমাদের মন্ত্রণালয় বা এনএসসির কেউ জড়িত কিনা সেটাও দেখবো।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ছাড়াও আরও অনেক স্টেডিয়ামেই দোকান রয়েছে। সেই দোকানগুলোর অবস্থা ও ভাড়া নিয়েও নতুন করে পর্যালোচনা করবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘এখানে এক হাজারের উপর দোকান আছে। অন্য স্টেডিয়ামেও আছে। আমরা একটা জেনারেল সার্ভে করবো। এরপর একটি পলিসি করবো। ভাড়াটা হচ্ছে ২২ টাকা স্কয়ার ফিট মান্ধাতা আমলের, এটা কোনও স্ট্যান্ডার্ডেই পড়ে না। ’
বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রীড়া ফেডারশেনের নিজস্ব আয় নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামান্য অনুদানে চলতে হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়ের আবার অন্যতম উৎস দোকান ভাড়া। দোকান ভাড়া থেকে বেশি অর্থ পেলে ফেডারেশনগুলোরে ক্রীড়া খাতে সহায়তা করার পরিকল্পনা রয়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টার।