শনিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে সংকেত সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
মিরসরাইয়ে সংকেত সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
আকতার হোসেন (চট্টগ্রাম) মিরসরাই প্রতিনিধি :: মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সংকেত সংস্থার উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক পরিবারের মাঝে উপহার স্বরূপ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার আবুরহাট বাজারস্থ সংস্থার কার্যালয়ে এ-সব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কাটাছরা ইউনিয়নের বাসিন্দা উদ্যমী তরুণ ওমর শরীফের পৃষ্ঠপোষকতায় সংকেত সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পঙ্কজ লাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে এবং সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সংকেত সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলীউল কবির ইকবাল, উপদেষ্টা কমিটির সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান কবির, কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, আইটি প্রকৌশলী ফারিয়াল কবির, সংকেত সংস্থার অপারাপর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, শেখ ফরিদ মানিক, মফিজ উদ্দিন, পারভীন আক্তার, রেহানা বেগম, ছায়রা বেগম, সংস্থার ক্রীড়া সম্পাদক এনায়েত উল্যা ছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রবিউল হোসেন।
আবুরহাট আঞ্চলিক এলাকার নিকটবর্তী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ টি ইউনিয়ন যথাক্রমে কাটাছরা, ইছাখালী ও ওচমানপুর ইউনিয়নের তেমুহানী, মুরাদপুর, গোঁয়াতলী, ইদিলপুর, উত্তর কাজীগ্রাম, জয়নগর, ভূঁইয়াগ্রাম, সাহেবপুর, সাহেবদীনগর এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সংকেত সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলীউল কবির ইকবাল জানান, আবুরহাট আঞ্চলিক এলাকার নিকটবর্তী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ টি ইউনিয়ন যথাক্রমে কাটাছরা, ইছাখালী ও ওচমানপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তৃতীয় ধাপে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ৫ জানুয়ারী উক্ত সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয় এবং ১৯৮১ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভ করে, যাহার নিবন্ধন নম্বর চট্ট-৯৩০/১৯৮১।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে উক্ত সংগঠন সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ক্রীড়া ও সামাজিক কার্যক্রম ছাড়াও বৃক্ষ রোপণ, খাল খনন, সড়ক সংস্কার, মাদক ও যৌতুক বিরোধী কর্মসূচি, নৈশ বিদ্যালয় চালুকরণ ও পরিচালনা, চক্ষু শিবির, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সহ সকল প্রকার সামাজিক ও মানবিক কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের কল্যাণে সবসময় সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বয়ে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আগামীতে আরও বড় পরিসরে ত্রাণ, খাদ্য ও বস্ত্র সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া’র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।