বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি এখন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি এখন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মাসুমা ফেরদৌস অবৈধ উপায়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে অর্ধশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক চাচা মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেমের প্রভাব খাটিয়ে তিনি তার স্বামীর নামে জেলা পরিষদ টাওয়ারের নিচ তলায় দোকান, শহরের একাধিক প্লট, ফ্লাট ও নগদ টাকার মালিক হয়েছেন। কুষ্টিয়া শহরের পেয়াতলার বাসিন্দা মাসুমা ফেরদৌস নিম্নমান সহকারি হিসেবে জেলা পরিষদে যোগদানের পর জেলা পরিষদের জমি ইজারা, নবায়ন, নাম পরিবর্তন, সিপিপিসি প্রকল্প সংক্রান্ত দায়িত্ব পান।
এসব কাজ করতে তিনি লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জান াযায় মাসুমা ফেরদৌস বর্তমানে প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, তিনি জায়গা জমি ইজারা-ইজারা নবায়ন করার সময় মোটা অংকের অর্থ প্রদান না করলে উপকার ভোগীদের দিনের পর দিন হয়রানি করেন। এছাড়াও ইতিপূর্বে লিজ প্রদান করা জমি প্রভাব খাটিয়ে লিজ বাতিল করে অর্থের বিনিময়ে অন্যের নামে বরাদ্দ দেন। টাকা হলে তিনি সব পারেন এমনটাই জেলা পরিষদের সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগিরা জানান। সাধারণ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সিপিপিসি প্রকল্পের ফাইল তৈরি করার নামে বা স্ট্যাম্প লিখে দেয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন মাসুমা ফেরদৌস। এছাড়াও নানা উপায়ে জেলা পরিষদ কুষ্টিয়া হতে অনৈতিকভাবে ঘুষ আদায় করেন। ঘুষ ছাড়া তিনি কোন কাজ বা ফাইলে স্বাক্ষর করেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেখানে কুষ্টিয়ার প্রভাবশালীরা জেলা পরিষদ টাওয়ারের নিচ তলায় দোকান নিতে পারে নাই সেখানে তার চাচা মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম এর প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামের কাছ থেকে কোটি টাকা মূল্যের দোকান তার স্বামীর নামে বরাদ্দ নিয়েছেন।
এছাড়াও কুষ্টিয়া শহরের গোশালা ও এনএস রোড এলাকায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের একাধিক জমি। মোটা অংকের বিপুল পরিমান ব্যাংক ব্যালেন্স এফডিয়ার সহ নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ।
এ বিষয়ে মাসুমা ফেরদৌস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার নামে এ সকল অভিযোগ সঠিক না। তবে তিনি স্বীকার করেন জেলা পরিষদ মার্কেটের নিচ তলায় তার স্বামীর নামে দোকান, শহরে একাধিক প্লট ও ব্যাংকে কযেক কোটি নগদ টাকা ও এফডিআর আছে। এগুলো তার ইনকামের টাকা বলেও জানান। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ অফিস স্টাফেদের রয়েছে মাসুমা ফেরদৌস এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, চাচার প্রভাবে তিনি ঠিকমত অফিস করেন না। তিনি ব্যক্তিগত ফাইল সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন কালে উদ্ধত্বন কর্মকর্তাদের ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করেন এতে করে অফিস সহকর্মীরা তার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিড়া ব্যাক্ত করেন। ভুক্তভোগীরা জানান মাসুমা ফেরদৌস এর মত দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর কারণে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।