সোমবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » অবরোধের ৩য় দিন, খাগড়াছড়ি বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক
অবরোধের ৩য় দিন, খাগড়াছড়ি বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে ৭২ঘণ্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় ও শেষ দিন চলছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তৃতীয় দিনেও আন্ত: জেলা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল না করলেও শহর স্বাভাবিক রয়েছে। হাট-বাজারে বাঙালি ও পাহাড়িদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে আগের মতোই।
এদিকে, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। খাগড়াছড়ি এপি ব্যাটালিয়ন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াস আজম বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে।
অপরদিকে, দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটক কেন্দ্র সাজেকে অন্তত ১৪শত পর্যটক আটকা পড়ে আছেন বলে জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শিরিন আক্তার। অবরোধের কারণে তারা ফিরতে পারছেন না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।নিরাপত্তা জনিত কারণে তাদের গাড়ি ছাড়ছে না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে শালবন এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. মামুনকে উপজাতীয় লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে। পরে নিহতের স্ত্রী মুক্তা বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২জন অজ্ঞাতনামা পাহাড়ি-বাঙ্গালিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার জেরে সহিংসতায় ছড়িয়ে পড়ে। দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, সদরের স্বনির্ভর বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর উপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে সহিংসতায় খাগড়াছড়িতে ৩জন ও রাঙামাটি একজনসহ ৪জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে এ অবরোধের ডাক দেয়া হয়েছিল। আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায়।