রবিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের গুইলাকান্দা গ্রামের ৬ ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রাব্বিকে নির্মম ভাবে হত্যাকারী ও তার সাথে যারা জড়িত সকলের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। রোববার সকাল ১১ টায় মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ি সড়কে ওই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে রাব্বি হত্যাকারীর সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন। তবে এঘটনায় রাব্বি হত্যাকারী মাজহারুলকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য- উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের গুইলাকান্দা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রাব্বি মিয়া (১৩) গত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হয়। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকার বানার নদের সেতুর নিচ থেকে রাব্বির লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত রাব্বি (১৩) স্থানীয় মহেশপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।বৃহস্পতিবার অটোরিকশা চালক বাবা দুপুরের পর বাড়িতে খাবার খেতে এলে রাব্বি অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। কিন্তু সে রাতে আর ফেরেনি। রাতভর না পেয়ে রাব্বির বাবা শুক্রবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। দুপুরের দিকে খবর পান রাব্বির লাশ ত্রিশাল উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকার বানার নদের সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাব্বির লাশ উদ্ধার করে।
পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে প্রতিবেশী মাজহারুল ইসলাম তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাব্বি মিয়ার ইজিবাইকে উঠে। ওই সময় মাজহারুলের সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না রাব্বির। গভীর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন। মাজহারুলের পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারেন, মাজহারুল তাঁর স্ত্রীকে শশুরবাড়ি পৌঁছে দিয়ে একই অটোরিকশায় ফিরে এসেছে। তখন থেকে মাজহারুলেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে ত্রিশালের আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি অটোরিকশায় চার্জ শেষ হয়ে যায়। ওই সময় ব্যাটারি খোলার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন চোর সন্দেহে মাজহারুলকে আটক করে। পরে পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়। পুলিশকে মাজহারুল জানায়, তিনি অটোরিকশাটি চুরি করে এনেছেন।
ত্রিশাল থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার সকালে চোর সন্দেহে আটক মাজহারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ বলে জানায়। পরে সেই ঠিকানা যাচাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে রাব্বির নিখোঁজের ঘটনা। পরবর্তীতে রাব্বিকে হত্যার কথা স্বীকার করে মাজহারুল। সুরতহালে নিহত রাব্বির মাথার পেছন দিকে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাব্বির বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার বিকেলে লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক মাজহারুল কে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এদিকে গত শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে রাত সাড়ে আটটায় জানাযার পর পারিবারিক কবরস্থানে রাব্বিকে দাফন করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে গত শুক্রবার একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। দুপুরের দিকে ত্রিশাল থেকে রাব্বির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় অনুগ্রহ কামনা করে রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপির সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবীর শাহীন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রাজ্জাক ভূইয়া হীরা।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছোট রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও কাকনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সানোয়ার পারভেজ তাসাদ্দাক পিন্টু, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও সমন্বয়ক আল আমিন, হারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সমন্বয়ক মোঃ আমিনুল হক।
এসময় অন্যানের মাঝে বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষক কাজী আলমগীর, আনোয়ারুল হক খোকা, নুরুল হুদা, টিপু সুলতান, রাসেদুজ্জামান রাজন, শওকত ইকবাল, সাদ্দাম হোসেন রানা, রোকসানা বেগম, আইরিন সুলতানা, মোরশেদ আলম, গোল্ডেন উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, টিপু সুলতান, আলমগীর হোসেন রানা, জাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রতন, বিলকিস বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, সহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী এবং প্রধান শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১০ম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, অধিকার। বর্তমানে আমরা ১৩তম গ্রেডে শিক্ষকতা করছি। অথচ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সিনিয়র নার্স, উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১০ম গ্রেডে বেতন পান। এটি চরম বৈষম্য। একই যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েও ১৩ তম গ্রেডে থাকায় সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন শিক্ষকরা। বর্তমান সরকার বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানান।
ঈশ্বরগঞ্জে কৃষি মেলার উদ্বোধন
ঈশ্বরগঞ্জ :: ঈশ্বরগঞ্জে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার, উপজেলা কৃষি অফিসার রিপা রানী চৌহান, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আব্দুল ওয়াহেদ খান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফারজানা আজাদ সুমী প্রমুখ।
এবার মেলায় ৬টি স্টলে ফলদ বনজ চারা কৃষি উপকরণ অধুনিক প্রযুক্তির চাষ পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে মেলায় প্রচুর ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। মেলার উদ্বোধন শেষে র্যা লী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।