শুক্রবার ● ২২ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » বিশ্বনাথে কালবৈশাখী ঝড়-শিলাবৃষ্টি
বিশ্বনাথে কালবৈশাখী ঝড়-শিলাবৃষ্টি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (৯ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২০মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখী ঝড় ও রাতে প্রচুর শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এতে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা৷ তবে রাতে উপজেলা সদরসহ আশপাশা কয়েক গ্রামে বিদ্যুত্ আসলে বাকি পুরো উপজেলা ছিল বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন৷ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলা সদরের বিদ্যুত্ আসা-যাওয়া করলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুত্ বিচ্ছিন ছিল৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাত্ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়৷ কাল বৈশাখী ঝড় প্রায ঘন্টাখানিক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ছিল৷ রাত সাড়ে ১০টার পর শিলাবৃষ্টি শুরু হয়৷ এতে বোরো চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে ৷
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি-ঘরে চাল-গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে৷ উপজেলার বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন, রামপাশা ইউনিয়ন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন, লামাকাজী ইউনিয়ন, দেওকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কাল বৈশাখী ঝড় হানা দেয়৷ এতে বেশীরভাগ গ্রামের অনেকের ঘরের চালের টিন ও গাছ উপড়ে পড়ে৷ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত্ বিচ্ছিন থাকায় অন্ধকারের মধ্যে অনেকেই বসবাস করেন৷
উপজেলার আলাপুর গ্রামের ফজল খান বলেন, ঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা৷ কিন্তু রাতে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান৷
কৃষক শহীদ মিয়া বলেন, শিলাবৃষ্টির ফলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ অনেক জায়গায় পাঁকা ধান ঝড়ে পড়েছে৷
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলীনূর বলেন, বোরো ফলন ভাল হয়েছে৷ তবে বৃহস্পতিবার রাতের শিলাবৃষ্টির ফলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান৷
উপজেলা পল্লী বিদ্যুত অফিসের ডিজিএম কমলেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, কালবৈখাশী ঝড়ে অনেক জায়গায় বিদু্যতের গুটির ওপর গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে৷ ফলে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন হয় পড়ে৷ তবে বিকেলে মধ্যে বিদ্যুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান৷
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী প্রতিনিধিকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন গ্রামে গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে৷ তবে শিলাবৃষ্টির ফলে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷