রবিবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে সহিংসতায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার-৪
রাঙামাটিতে সহিংসতায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার-৪
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অনিক কুমার চাকমা হত্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুরের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এঁদের মধ্যে মো. রুবেল (২৩) এবং মো. আবরার (১৭) কে অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্য দুজন হচ্ছে রাকিব (২৭) ও আরিফুল (১৭) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা সূত্রে পুলিশ জানায়, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ৪ অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে নিহত অনিক কুমার চাকমা হত্যার আসামি মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাঁকে পুলিশ রাঙামাটিতে নিয়ে আসে। হত্যা মামলার অপর আসামি মো. আবরার (১৭) কে শনিবার ৫ অক্টোবর বিকেলের দিকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া অগ্নিসংযোগ ও বৌদ্ধ বিহারে ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার বিকেলে শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে রাকিবকে ও রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে আরিফুল (১৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে দুজনকে ৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের দুজনকে পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, জেল হাজতে পাঠানো আসামি মো. রুবেল (২৩) রাঙামাটি জেলা শহরের চম্পকনগর এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার ৪ অক্টোবর বিকালে আদালতে তোলা হলে রুবেল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন।
কোতয়ালি থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভোরে খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলা থেকে আসামি রুবেল গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে আবরার ও আরিফুল নামে অন্য দুইজনকে রাঙামাটি শহর থেকে আটক করা হয়। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাঙামাটি শহরের সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনায় জেলা শহরের কালিন্দীপুর এলাকার প্রবেশ মুখে অনিক কুমার চাকমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অনিক কুমার চাকমা রাঙামাটি সদর উপজেলা জীবতলী ইউনিয়নের নোয়াদম পাড়ার আদর সেন চাকমার ছোট ছেলে এবং কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দুদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন অনিকের বাবা আদর সেন চাকমা।
এছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর-২০২৪ তারিখ রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী দাঙ্গার সময় শহরের বনরুপা (কাঠালতলী) এলাকায় মৈত্রী বিহার স্থাপনায় বুদ্ধমুর্তি ভাংচুর ও দান বক্সসহ বিহারে লুটতারাজ চালিয়ে বৌদ্ধ বিহারের ব্যাপক ক্ষতি করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই হাজারের জনের বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।