শনিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে বরের পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় এসআই বরখাস্ত
গাজীপুরে বরের পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় এসআই বরখাস্ত
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে বাদীপক্ষের লোকজন গায়ে হলুদের আগের রাতে রুবেল নামের এক বরকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় জয়দেবপুর থানার এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
২২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, ওই ঘটনায় জয়দেবপুর থানার এসআই আলী আকবরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ ঘটনা তদন্তের জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আমীর হোসেন ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক-২ মোঃ মোমিনুল ইসলাম৷ তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷
রুবেলের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পুবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় মো. নুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়ার ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ছিল গায়ে হলুদ ৷ আগের একটি মামলায় রুবেলকে ধরতে বাদীপক্ষের লোকজন জয়দেবপুর থানার এআই আলী আকবরসহ পুলিশ নিয়ে গায়ে হলুদের আগের দিন ২০ এপ্রিল বুধবার রাতে রুবেলদের বাড়িতে যায়৷
একপর্যায়ে রুবেলকে ধরে বাড়ি থেকে বের করে পুলিশের উপস্থিতিতে বাদীপক্ষের লোকজন লাঠি ও দেশি অস্ত্র দিয়ে রুবেলকে মারধর করে দুই পা ভেঙে দেন৷ পরে রুবেলকে ফেলে তারা চলে আসার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদের ঘেরাও করেন৷
খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ পরে স্বজনরা রুবেলকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করেন৷
রুবেলের চাচা বাবুল মিয়া জানান, এ ঘটনার পর বিয়ের বিষয়টি স্থগিত রয়েছে৷
এদিকে ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে রুবেল মিয়ার বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন৷
মামলার আসামিরা হলেন- ওই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (২৭) ও রবিউল ইসলাম (৩২), কামাল হোসেন সোধন (৬০), তার ছেলে আবদুর রহিম (২৮) ও লোকমান মিয়া (২২)৷ মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে৷
তবে পুলিশের উপস্থিতিতে রুবেলকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিলেও মামলায় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি৷