শনিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » পার্বত্য জেলা গুলিতে আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে ফি নেয়া হচ্ছে
পার্বত্য জেলা গুলিতে আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে ফি নেয়া হচ্ছে
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১০ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩০মিঃ) রাঙামাটি,বান্দারবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা গুলির ২৩টি উপজেলা ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য এবং রাঙামাটি শহরে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা এবং উদীপনা লক্ষ করা গেছে । শুরু থেকে সরকার ও সকল মোবাইল অপারেটররা ঘোষনা দিয়ে আসছে বিনা খরচে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবিন্ধন করা যাবে। সকল মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজেদের বুথ স্থাপনের মাধ্যমে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সময় যত কমে আসছে তত মানুষ প্রতিদিন গ্রামীন,রবি,বাংলা লিংক,টেলিটক ও ওয়ারিদ মোবাইল অপারেটরদের বুথগুলো তাদের নিজেদের সিমগুলো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে নিতে ভিড় করছে । এই সুযোগে প্রতিটি রিটেইলর মোবাইল সিম/রিম ব্যবহারকারদের কাছ থেকে সুযোগ বুঝে ২০- ৫০ -১০০ টাকা করে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাঙামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে রিজার্ভ বাজার,তবলছড়ি,কাঠালতলী,বনরুপা,নিউ মাকেট, রাজবাড়ি, ষ্টেডিয়াম এলাকা, হাসপাতাল এলাকা, দেবাশীষনগর, টিএন্ডটি এলাকা, কলেজ গেইট, আমানতবাগ, ভেদভেদী ও মানিকছড়ি এলাকার প্রতিটি মোবাইল অপারেটর রিটেইলর এর দোকানে অনিবন্ধিত সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন এবং রি-ভেরিফিকেশন করাতে মানুষ লাইন ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে।
রিটেইলরদের কাছে যেসব গ্রাহক ২০- ৫০ -১০০ টাকা করে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন ফি দিচ্ছেন কেবল মাত্র তাদের অনিবন্ধিত সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন এবং রি-ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে । যে সব গ্রাহক টাকা দিতে রাজি হচ্ছেনা তাদের বলা হচ্ছে কাষ্টমার কেয়ার অথবা মোবাইল অপারেটরদের অফিসে যোগাযোগ করতে । ষ্টেডিয়াম এলাকার একজন রিটেইলর সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিটি মোবাইল অপারেটর বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন ফি নিতে নিষেধ করেছেন, কেবল মাত্র বাংলা লিংক ছাড়া তাদেরকে অনিবন্ধিত সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন এবং রি-ভেরিফিকেশন করাতে গ্রামীন,রবি,বাংলা ও ওয়ারিদ প্রতিটি ফরম প্রতি ১.৮০ পয়সা দেয়ার কথা ঘোষনা থাকলেও মোবাইল অপারেটরা কোন খচর দিচ্ছেনা। টেলিটক মোবাইল অপারেটর তো কোন ঘোষনা দেয় নাই । মোবাইল অপারেটর গুলি রিটেইলরদের কাছে কেবল মাত্র আঙুলের ছাপ নিতে ডিভাইজ সরবরাহ করেছে, ফরম পুরণ করতে আলাদা একজন জনবল প্রয়োজন এবং ডিভাইজের ব্যাটারী চাজ দিতে খরচ লাগে এর কোনটাই মোবাইল অপারেটরা রিটেইলরদের দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে রিটেইলরা গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে অনিবন্ধিত সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন এবং রি-ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে ।
আগামী ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে নিতে সরকার ও মোবাইল অপারেটরা গ্রাহকদের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে । ৩০শে এপ্রিলের পরে সকল অনিবন্ধিত সিম/রিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবন্ধন কার্যক্রমের ব্যাপারে সময় আরো তিনমাস বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা।