শনিবার ● ১২ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল রাউজানে, ছিল আয়না ঘরও
ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল রাউজানে, ছিল আয়না ঘরও
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, রাউজান সারা দেশের অন্যান্য নির্বাচনী এলাকা থেকে ভিন্ন ছিল। বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় সাবেক সাংসদের একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল এই রাউজানে। সাধারণ নিরীহ মানুষের কাছ থেকে জোর পূর্বক জায়গা-জমি দখল, লিখে না দিলে আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতনসহ এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছিল এই জনপদের মানুষকে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, এসব নিরীহ মানুষের সারাজীবনে কষ্টে অর্জিত সম্পাদ গুলো হারিয়ে আজ তারা ভূমিহীন। ভূমি মন্ত্রণাণলের সাহায্যে কোন একটা উপায়ে এসব মানুষ কিভাবে তাদের জায়গাগুলো ফিরে পেতে পারে সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, রাউজানে কেউ নিজের জায়গায় বাড়ি করলেও তৎকালীন সরকারের লোকেদের ট্যাক্স দেওয়ার একটি প্রথা চালু ছিল। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে হতো নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে। এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রাউজানের গহিরা নিজের গ্রামের বাড়িতে
কথিত গহিরা কলেজের আয়না ঘর ও রাউজানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, গহিরা কলেজের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে এই বিশাল আয়না ঘর নির্মাণের পেছনে কাদের হাত আছে সেটা পরিস্কার হতে হবে। কারা এই আয়না ঘর করতে সহযোগিতা করেছে, এই প্রকল্পটি কাদের মাধ্যমে হয়েছে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজ আহমদ, রাউজান পৌরসভার বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মঞ্জুর আলম, উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নুরুল ইসলাম বাবুল, উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক, পৌরসভার বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আনিসুজ্জামান সোহেল, উত্তরজেলা সেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহবায়ক ইউসুফ তালুকদার, মাসুদুল আলম মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছোটন আজমসহ প্রমুখ।