বৃহস্পতিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » শাহরাস্তিতে টিআর প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে প্রকল্পের অর্থ তছরুপ
শাহরাস্তিতে টিআর প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে প্রকল্পের অর্থ তছরুপ
শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :: চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এমপির বিশেষ বরাদ্দের টিআর প্রকল্পের অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে।
জানাযায় উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশীদ গ্রামের ‘হযরত গাউছুল আযম জামে মসজিদ’ সংলগ্ন রাস্তার প্রকল্পের কাজ নিয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন মাধ্যমে এই অভিযোগ তোলেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে আরও জানা যায়, ২০২২ সালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওই মসজিদের পাশে গার্ড ওয়াল নির্মাণের জন্য টিআর প্রকল্প থেকে এক লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল আমিনকে সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক দিদার পাটওয়ারীকে সদস্য করে এটি বাস্তবায়নে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বর্তমানে বাস্তবে ওই প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি চাউর করছে।
এবিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় কোন গার্ড ওয়াল নির্মাণ তো দূরের কথা, আশে পাশে এ ধরণের কোন কাজের অস্তিত্ব নজরে পড়েনি। এসময় মসজিদের সামনে পরিত্যক্ত কিছু ইট স্তুপ আকারে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, বিভিন্ন জটিলতায় উল্লেখিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে দ্রুততম সময়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ঠিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক দিদার পাটোয়ারী এবং ফখরুল ইসলামকে গার্ড ওয়াল নির্মাণের ব্যাপারে এলাকাবাসী জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রকল্প কমিটি দ্রুততম সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে জানান, তা-না হলে অর্থ ফেরত দিবে বলে গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করেন।
এছাড়া ওই প্রকল্পের জন্য মসজিদের সামনে পরিত্যক্ত ইটগুলো পূর্বে কিনা হয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানান। তবে কি কারনে প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি তার কোন সদুত্তর তারা কেউ দিতে পারে নাই।
মসজিদের সাবেক মোতোয়ালি হাসান জানান, ২০২২ সালে মসজিদের পাশে গার্ড ওয়াল নির্মাণের কথা থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। মসজিদের উন্নয়নে গার্ড ওয়ালটি সত্যিই জরুরী ছিলো। এমন ঘৃণিত কাজের জন্য সত্যিই আমরা হতবাক।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সবুজ জানান,তিনি আগামী ২০ অক্টোবর অফিসে গিয়ে এবিষয়ে জেনে গণমাধ্যমকে জানাবেন।
এলাকার সচেতন মহলের অভিমত পুরো উপজেলার অবস্থা প্রায় একই রকম। তাই টিআর/কাবিখার আওতায় সম্পাদিত সকল প্রকল্পসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত পূর্বক তছরুপ হওয়া সরকারি অর্থ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা অতীব জরুরী বলে মনে করেন।