সোমবার ● ২১ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » ঢাকা » গণহত্যায় অভিযুক্ত ও লুটপাটের সকল হোতাদের অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনুন
গণহত্যায় অভিযুক্ত ও লুটপাটের সকল হোতাদের অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনুন
আজ সকালে পুরানা পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে মঞ্চের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, গণ অভ্যুত্থানের মুখে পতিত সরকারের পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা - না করার প্রশ্নটাই অবান্তর।এটা নিয়ে রাষ্ট্রপতির পানি ঘোলা করার কোন সুযোগ নেই।
নেতৃবৃন্দ এই সরকারকে অনতিবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমিয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানান।
তারা বলেন, মুনাফাখোর সিন্ডিকেটসমূহের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বাজারের আগুনে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের দূর্গতি কমাতে আগামী ছয় মাস পরিবার প্রতি নগদ আর্থিক সহযোগীতা করার দাবী জানান।
তারা বলেন, অভাবী ও অভূক্ত মানুষ সংস্কারের ভাল কোন প্রস্তাবকেও গ্রহণ করতে পারবে না। তারা আরো বলেন, সরকারকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করতে যেসব ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চলছে তার বিরূদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন ক্ষমতা গ্রহণের আড়াই মাস পর মানুষ এখন সরকারের সাফল্য দেখতে চায়। প্রয়োজনে অন্তবর্তী সরকারকেও পুনর্গঠন করুন। এখন সরকারের কোন অজুহাত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
নেতৃবৃন্দ গণহত্যা, বেশুমার লুটপাটের দায়ে অভিযুক্ত পতিত সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার গ্রুফতারের দাবী জানান। সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে হত্যা মামলার আসামী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতেও এ ধরণের হয়রানিমূলক মামলা চলতে থাকলে প্রকৃত আসামীরা পাত পেয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরীর হবে এবং মামলার মেরিট কমে যাবে।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে তাদের কাজের অগ্রাধিকার নির্দিষ্ট করে জাতীয় নির্বাচনসহ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পদক্ষেপসমূহ দেশবাসীর কাছে হাজির করার আহ্বান জানান।
একই সাথে নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধ, ৭ই মার্চ, ২রা মার্চ সহ ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসের মত সর্বজন গৃহীত দিবসসমূহু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করার পরামর্শ প্রদান করেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের পরিচালনায় এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ বিষয়ক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া ।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মুসতাক, ভাসানি অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ডঃ আবু ইউসুফ সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মোহিতুজ্জামান মুহিত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।