শনিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ব্যাপক কারচুপি জাল ভোট ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা কালীগঞ্জের ৯টি ইউনিয়নে ভোট হলো
ব্যাপক কারচুপি জাল ভোট ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা কালীগঞ্জের ৯টি ইউনিয়নে ভোট হলো
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১০ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩৫মিঃ) শনিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোট শেষ হয় ব্যাপক কারচুপি, জাল ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা ও পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে৷ ভোট গ্রহণ চলাকালে ভোটারদের হুমকী ও পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ভোট বর্জন করেন রাখালগাছী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন৷ তিনি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারী দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে জবর দখলের অভিযোগ এনে নির্বোচন বর্জনের ঘোষনা দেন৷
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সরকারি দলের ক্যাডাররা ব্যাপক ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করে৷ কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাদপুরসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ এই দুইটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ভোট প্রাশ্যে নৌকায় মারতে বাধ্য করা হয়৷ দাদপুর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কালীগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রভাষক মসিউর রহমানের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ভোটাররা সিল মারতে থাকে৷ এ সময় প্রার্থীদের কোন অভিযোগ তিনি শোনেন নি৷ সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান৷ পরে স্ট্রাইকিং ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে৷ বারোবাজার ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে নীরব কারচুপি হয়েছে বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইন্তাদুল হক ইন্তা অভিযোগ করেন৷ নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ফারাশপুর, মোস্তবাপুর ও অনুপমপুর ভোট কেন্দ্রে সরকারী দলের সমর্থকরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে দেভা যায়৷ এদিকে ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার সাথে সাথে কেপে ওঠে কালীগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা বাজারে৷ শনিবার বিকাল চারটার পর ২০ মিনিটের ব্যবধানে পর পর তিনটি বোমার বিস্ফোরণে কেপে ওঠে বাজার৷ এ সময় পাশেই উপস্থিত ছিল বিজিবির টহল দল৷ বোমার শব্দে শুনে বিজিবির টহল দল এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়৷ তবে নির্বাচন কাজে দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্রেট সোহেল জুলকার নায়ন কবির দুইটি বোমা বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেন৷ এ ঘটনায় কেও হতাহত হয়নি৷
ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী শাহাজাহান আলী শেখ অভিযোগ করেন ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার পরপরই তার মালিকানাধীন চাতালের পাশে তিনটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরন ঘটায়৷ তিনি আরো জানান, ভোটের ৩ দিন আগ থেকে তার প্রতিপক্ষ ভাড়া করা সন্ত্রাসী এনে বেপরোয়া ভাবে বালিয়াডাঙ্গা ও গোটা গ্রামে বোমা হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে৷ ফলে এতে বিএনপি ও তার সমর্থকরা ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে৷
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, কে বা কারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই৷ তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন রাকিব জানান,
ভোট শান্তিপুর্ন হয়েছে৷ বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ তাছাড়া কোন প্রার্থী ভোটে অনিয়মের কোন অভিযোগ করেননি৷