বুধবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে জমিজমা বিরোধে মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
ঘোড়াঘাটে জমিজমা বিরোধে মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পারিবারিক ও জমিজমা বিরোধের জের ধরে সামছুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে ফিরোজ কবিরকে (৩২) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টায় উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সামসুন্নাহার বেগম ও ফিরোজ কবির একই গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী ও ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফিরোজ কবির বাদী হয়ে একই গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৫), মৃত মমিন উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান (৬৫) ও আমিনুর ইসলামের (৪৫) নাম উল্লেখ করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ কবির ও তার ভাই ফরহাদ কবিরের সাথে একই গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৫), মৃত মমিন উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান (৬৫) ও আমিনুর ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা ফিরোজ কবির সহ তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট ও খুন জখম করার হুমকি দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকালে ফিরোজ কবির জয়রামপুর মৌজায় তার আবাদী জমিতে পানি সেচ নিতে গেলে প্রতিপক্ষরা হাতে লাঠি, ধারালো ছোড়া ও হাসুওয়া নিয়ে এসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফিরোজ কবির কে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এ সময় ফিরোজ কবির গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে এলোপাথারীভাবে কিল-ঘুষি, মারপিট ও ধারালো ছোরা দিয়ে তাকে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ফিরোজ কবিরের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ও তার মা সামছুন্নাহার বেগম ছেলেকে রক্ষার করতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকেও রক্তাক্ত জখম করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজ কবির বাদী হয়ে একই দিন রাতে তার ছোট ভাই ফরহাদ কবির (২৪) মারফত ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে কথা হলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় আমাদের পুলিশের একটি টিম সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।