মঙ্গলবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গণহত্যার আসামীদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই
গণহত্যার আসামীদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন জুলাই - আগস্টে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণ অভ্যুত্থানের হাজারো শহীদদের রক্তভেজা পথেই বাংলাদেশকে তার আগামীকাল পথ চলা নিশ্চিত করতে হবে। অভ্যুত্থানের বীর শহীদদের এই রক্তস্রোত স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের অযুত সম্ভাবনার রাস্তা খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেই শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাতে হবে।তিনি দ্রুত শহীদ পরিবারসমূহের উপযুক্ত পুনর্বাসনের দাবি জানান।
তিনি বলেন,জুলাই - আগস্ট গণহত্যার অভিযুক্তদের অধিকাংশই এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।এদের সবাইকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তিনি বলেন গণহত্যার আসামীদের কোন ক্ষমা নেই; এদের রাজনৈতিক পুনর্বাসনেরও কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, খুনিদের বিচার কোন প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার বিষয় নয়।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, বাজার পরিস্থিতি এখনও বেসামাল ও লাগামহীন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেবার আহবান জানান। [*র
রংপুরের কাউনিয়ায় শহীদবাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির রংপুর জেলা শাখার সম্পাদক মোহাম্মদ স্বাধীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, পার্টির গাইবান্ধা জেলা কমিটির সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর জেলার নেতা এমদাদুল হক ভরসা, রাকিবুল হাসান পলাস, জামিনুর রহমান প্রমুখ ।
সমাবেশে বহ্নিশিখা জামালী বলেন, গণ অভ্যুত্থানের এত বড় বিজয়ের পরও মানুষের মনে এখনও শান্তি আসেনি।তিনি বলেন, মানুষের জীবন নিরাপদ না হলে সরকারের প্রতি মানুষের এই সমর্থন থাকবেনা
আকবর খান গরীব মানুষদের রক্ষায় অভাবী পরিবারদেরকে মাসিক ৫ হাজার করে টাকা দেবার দাবি জানান।
আনছার আলী দুলাল বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকারের কোন সংস্কার পদক্ষেপও কার্যকরি হবেনা।তিনি বন্ধ চিনিকল চালুর দাবি জানান।
সমাবেশের শুরুতে গত জুলাই - আগস্টের ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শহীদ বদিউজ্জামাল, আবদুল লতিফ, শহীদ নাসিরুদ্দিনসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।