রবিবার ● ২৪ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পাঁকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা
পাঁকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:: গত বছর আমরা ২৫০ টাকা রোজ দিয়ে বোরো ধান কাটিয়েছি৷ কিন্তু এবছর ৪০০/৫০০ টাকা রোজ দিয়েও ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছিনা৷ ফলে পাঁকা ধান জমিতেই পড়ে আছ ৷ কথাগুলো শনিবার দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথে বাসিয়া ব্রীজের ওপর শ্রমিককের জন্য অপেক্ষামান উপজেলার বাওনপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম কছির বললেন৷ এসময় তার সাথে কন্ঠ মিলেয়ে কারিকোনা গ্রামের কৃষক শহিদ মিয়া, মঈন উদ্দিনসহ অনেকেই শ্রমিক সংকটের কথা জানান৷ এসময় তারা আরোও বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমাদের এলাকায় ধানের ফলন কিছুটা ভালো হয়েছে৷ কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারনে পাঁকা ধান জমিতে থাকা সত্ত্বেও ঘরে তোলা যাচ্ছেনা৷
এদিকে, আসন্ন ইউনয়িন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন শ্রমিকরা৷ ফলে ধান কাটার শ্রমিক উপজেলায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে৷ উপজেলার কিছু জায়গায় পানির নিচে পাকা ধান তলিয়ে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান৷
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক সংকটের কারণে নিজেদের ধান জমিতে নষ্ট হচ্ছে দেখে ধান কাটতে শুরু করেছেন স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও বয়ষ্ক মানুষরা৷ অনেকেই মনের আনন্দে ধান কাটলেও অনেকেই আবার নিজেরদের গুরত্বপপূর্ণ কাজ ফেলে রেখেও ধান কাটচ্ছেন৷ তবুই যাতে পাঁকা ধান জমিতে পড়ে না থাকে৷ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় বোরো ধান কাটা গত কয়েক দিন পূর্বে থেকে শুরম্ন হয়েছে৷ কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক সংকটনের জন্য অনেক জায়গায় ধান কাটতে পারেননি চাষিরা৷
কলেজগামী ছাত্র মিনহাজুর রহমান বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে কলেজের ফাঁকে ফাঁকে ধান কাটতে হচ্ছে৷ তা না হলে জমির অনেক ধানই নষ্ঠ হয়ে যাবে৷
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলীনূর রহমান বলেন, এবছরের ফলন অনেক ভালো হয়েছে৷ কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক সংকঠের কারণে কৃষকরা সময় মতো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না৷ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কিছু ধান পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে বলে তিনি জানান৷