মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথের রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হচ্ছে জামায়াত
বিশ্বনাথের রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হচ্ছে জামায়াত
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: ৭মে ৪র্থ দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেটের বিশ্বনাথের রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হচ্ছে জামায়াত-শিবির৷ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি (লামাকাজী, খাজাঞ্চী, দৌলতপুর) ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৩ জামায়াত নেতা৷ আর এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন রাজনীতির আড়াঁলে থাকা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ফের উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন৷
এবারের নির্বাচনে উপজেলার ‘খাজাঞ্চী ইউনিয়নে’ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও বর্তমান চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী (প্রতিক চশমা), ‘লামাকাজী ইউনিয়নে’ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মঈন উদ্দিন (প্রতিক আনারস), ‘দৌলতপুর ইউনিয়নে’ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি বাবুল মিয়া (প্রতিক চশমা) প্রতিদ্বন্দিতা করছেন৷
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে থাকা অভ্যানত্মরিন বিরোধকে কাজে লাগিয়ে জামায়াত এবারও এক বা একাধিক ইউনিয়নে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্থ রয়েছেন৷ এরমধ্যে খাজাঞ্চী ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে বিজয়ী করতে ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কিছু বিদ্রোহী নেতা-কর্মী গোপনে তাঁর (নিজাম) পৰ নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করছেন বলেও জানা গেছে৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণা ও বাসত্মবায়নের পর কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন এবং নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবির আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হন ও কারাবরণ করেন জামায়াতের বিভিন্ন সত্মরের নেতা-কর্মীরা৷ এরপর থেকে উপজেলায় জামায়াতের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়েই গিয়ে ছিল৷ তবে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বছরের শেষ দিকে অনেকটাই গোপনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ জমিয়ে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে প্রার্থী হন জামায়াত নেতারা৷
২০১১ সালের নির্বাচনে উপজেলার ‘খাজাঞ্চী ইউনিয়নে’ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী ও ‘দেওকলস ইউনিয়নে’ উপজেলা জামায়াতের সেক্রটারী এইচ এম আক্তার ফারম্নক প্রতিদ্বন্দিতা করেন৷ ২০০৩ সালে উপজেলার ‘খাজাঞ্চী ইউনিয়নে’ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, ‘রামাপাশা ইউনিয়নে’ দৰিণ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি ফখরম্নল ইসলাম খান, ‘দৌলতপুর ইউনিয়নে’ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি বাবুল মিয়া, ‘বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নে’ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ইমাদ উদ্দিন প্রতিদ্বন্দিতা করেন৷ এরমধ্যে শুধুমাত্র ২০১১ সালের নির্বাচনে নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী বিজয়ী হন৷
উপজেলা জামায়াতের আমীর আবদুল কাইয়ুম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে আমাদের কোন প্রার্থী নেই৷ তবে দলের যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন, দলের নেতা-কর্মীদের পৰ থেকে তাঁদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে৷