বুধবার ● ১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পানছড়িতে তারণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন
পানছড়িতে তারণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন
মো. হেলাল উদ্দিন,পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :: এসো দেশ বদলায় পৃথিবী বদলআয় এই স্লোগানে ১ লা জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে তারণ্যর উৎসব উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক বিশাল র্যালি আয়োজন করা হয়।
র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর হয়ে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
এ সময় পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়,পুজগাং মুখ উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার(অ.দা)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় বলেন তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। নতুন করে উন্নতশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগাতে হবে।
এসময় অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দীন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কফিল উদ্দীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জাফর উল্লাহ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা প্রিয় কান্তি চাকমা, রেঞ্জ কর্মকর্তা কিশোলয় চাকমা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, আনসার ভিডিপি অফিসার কাজী আকাশ,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সংগীতা ভৌমিক, পানছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মাহিম ও ছাত্র প্রতিনিধি মনির ভুঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পানছড়িতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত
পানছড়ি :: নববর্ষের প্রথম দিন সারা দেশের সঙ্গে একযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পানছড়ি উপজেলা জিয়া নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নতুন বই।
বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) জিয়া নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন উল্টাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ।
বই উৎসব অনুষ্ঠানে শিক্ষক বৃন্দ বলেন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারায় সরকার প্রধান কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিতে পারার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। এক সময় নতুন বই পাওয়া ছিল সোনার হরিণের মতো,নতুন বই পেয়ে প্রিয় শিক্ষার্থী তোমরা যেমন আনন্দিত আমরাও তেমনি আনন্দিত।
প্রতিষ্ঠান শিক্ষক বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সন্তানেরাই নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে পারতো। দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য নতুন বই ছিল সোনার হরিণ। অর্থাভাবে বই কিনতে না পেরে বহু শিক্ষার্থীর পড়াশুনা প্রাথমিক স্তরেই থেমে যেত। এখন আর বইয়ের অভাবে কারো পড়াশোনা মাঝ পথে থমকে যাই না। কোনো পরিবারে যদি একটি সন্তান মাদকাসক্ত হয় তাহলে সেই পরিবারে আর কোনো শান্তি থাকে না। সেই পরিবার সামাজিকভাবে নিগৃহীত হয়। তাই সন্তানদের সময় দিতে হবে ও খোজ খবর নিতেহবে । তাদের চাল-চলন, আচার-আচরণের প্রতি সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। এসময় শিক্ষার্থী অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন ।