শুক্রবার ● ৩ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » নওগাঁ » সূর্যের দেখা নেই, আত্রাইয়ে আবারও বাড়েছে শীতের তীব্রতা
সূর্যের দেখা নেই, আত্রাইয়ে আবারও বাড়েছে শীতের তীব্রতা
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। গত দুই সপ্তাহ আগে সূর্যের আলো থাকায় তেমন শীত অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিন থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ার সাথে সাথে আবারও বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
জানুয়ারির তৃতীয় দিনেও বৈরী এই আবহাওয়া সীমাহীন জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ। এর মধ্যে শুরু হওয়া শীতল বাতাসে জবুথবু জনজীবন।
স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। তীব্র ঠা-ার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা নামানো হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিন্ম আয়ের মানুষগুলোর। শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনো সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তীব্র শীতে আত্রাই নদী কেন্দ্রিক মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ভ্যানচালক মুনির হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে এতো বেশি শীত ছিল না। কয়েক দিন থেকেই ঠান্ডা অনেক বেশি। কুয়শা বেশি না থাকলেও বাতাসের কারণে বেশি কষ্ট হচ্ছে। ভ্যানের হ্যান্ডেল ঠান্ডায় ধরে থাকা যায় না। ঠান্ডার মধ্যে লোকজনও বাইরে কম বের হচ্ছে যার জন্য ভাড়াও কম।
এদিকে আত্রাই সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।
নওগাঁ বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহবুব আলম বলেন, গতকালকের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আকাশে হালকা মেঘ এবং বাতাস থাকার কারণে শীতের প্রকোপ বেশি। সামনের দিনগুলোতে শীত আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন বলেন, উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। শীতের তীব্রতার ফলে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৩০৭২টি কম্বল বিতরণ করেছি।