বৃহস্পতিবার ● ৯ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ভরাট হওয়া রাউজান খাল এখন কৃষকের গলার কাঁটা
ভরাট হওয়া রাউজান খাল এখন কৃষকের গলার কাঁটা
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে দীর্ঘদিন খাল খনন না করায় ভরাট হয়ে পড়ে এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে ‘রাউজান খাল’।
পাহাড়ি ছড়া থেকে দীর্ঘ এলাকা পেরিয়ে এই খালটি এসে পড়েছে উপজেলার পশ্চিম অংশের কাগতিয়ায় এলাকার হালদা নদীর শাখা খালে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন কোন প্রকার খনন কাজ না করে এবং দখলদারদের কারণে ভরাট হয়ে গিয়েছে এই খালের বিশাল একটি অংশ। এই খালের পানি থেকে রাউজান সদর ইউনিয়ন ও কদলপুর ইউনিয়নের (আংশিকসহ) প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমে পানি দিয়ে চাষাবাদ করতেন কৃষকরা। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকবছর ধরে তেমন একটা বোরোর চাষ হয়না। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি চলে যায় খালের ধারণ ক্ষমতার বাইরে। যার কারণে অতিরিক্ত পানির চাপে খালের পাড় ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শতশত ফসিল জমি।
স্থানীয় কৃষকদের দাবী খালটি দখলমুক্ত এবং পুনঃখননের ব্যবস্থা করলে শুকনো মৌসুমে হালদার জোয়ারের যে পানি প্রবেশ করবে এতে করে পাহাড়ি ছড়া আর জোয়ারের পানি মিলে আবারো পুরোদমে বোরোর চাষাবাদ করা যাবে। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি। স্থানীয় কৃষক মোজাম্মেল হক, মো.আলী, মনছুর আলম, মো.নাছির সহ কয়েকজন জানান, গত কয়েকবছর ধরে এই খাল ভরাট হয়ে যেন কাঁটার মত আটকে আছে তাদের গলায়। শুকনো মৌসুমে খালে পানি পাওয়া যায়না। আর বর্ষায় খালের গভীরতা কম থাকায় পাড় ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায় কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি। গতবছরও আমন চাষে দুইবার রোপন করতে হয়েছে ধান গাছ। এতে করে খরচও বেড়েছে চাষে।
রাউজান সদর ইউনিয়ন পরিষদের সবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী টিপু বলেন, রাউজান খাল এখানের কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাল। প্রায় ১৫শ কৃষক পরিবার এই খাল সংলগ্ন জমিতে চাষাবাদ করেন। বর্ষায় পানির প্রবাহ বেড়ে এই খালের দুই পাশে কৃষকরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখিন হয়। খালটি দ্রুত খননের ব্যবস্থা করলে এই এলাকার কৃষকরা বেঁচে যাবে।
রবিবার সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, খালটি দীর্ঘদিন খনন না করায় ভরাট হয়ে গিয়েছে। এটি খনন করলে বর্ষায় পানির প্রবাহ বজায় থাকবে এবং জোয়ারের পানি এসে খালের দুই পাশে সহজেই কৃষকরা বোরো ধান চাষ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে উর্ধতন কর্মকর্তাগণ সিদ্ধান্ত নিবেন।