শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতা আটক ●   বেদে সম্প্রদায় ঝাড়ফুক দিয়েই চলে জীবন সংসার ●   তরুণ সংঘের উন্মুক্ত নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী ●   সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত রাউজান গঠন করতে বদ্ধপরিকর : গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ●   সমাবেশ শেষে ফেরার পথে স্বদলীয় প্রতিপক্ষের মামলা ●   মিরসরাইয়ে জামালপুর দারুননাজাত মাদরাসার উদ্বোধন ●   সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হোমিও চিকিৎসা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   হরিনা অমৃতধাম বিহারে বুদ্ধ মূর্তি দান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ●   চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা.শফিকুর রহমান ●   সফল হতে চাইলে সরকারকে এজেন্ডা কমিয়ে আনা দরকার ●   খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের নির্বাচিত নতুন কমিটির প্রথম সভা ●   খেজুর গাছের দায়িত্ব নিলো মানুষ যে সেচ্ছাসেবী নামের সংগঠন ●   শ্রমিক নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক ●   কাপ্তাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রের পুনর্বাসনে মানবিক সহায়তায় ৪১ বিজিবি ●   সূর্যের দেখা নেই, আত্রাইয়ে আবারও বাড়েছে শীতের তীব্রতা ●   মিরসরাইয়ে গাছের চারা বিতরণ ●   কাপ্তাইয়ে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উদযাপন ●   বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সমস্যা জানালেন সিজিএএ নেতারা ●   খাগড়াছড়িতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ●   নবীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় রায়ের পরলোক গমন ●   কাপ্তাইয়ে হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   পানছড়িতে তারণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন ●   এম.এ হায়দার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের মা সমাবেশ ●   রাউজানে বাঁধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন ●   ভারত তীর্থমুখ পৌষ মেলায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন ●   ঈশ্বরগঞ্জে শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল ●   ভদন্ত জোতির্ময় মহাথেরোর মাতা মনিবালা বড়ুয়ার স্মরনে সংঘদান অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময়
রাঙামাটি, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী এস আলম গ্রুপ
প্রথম পাতা » অপরাধ » ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী এস আলম গ্রুপ
মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী এস আলম গ্রুপ

---
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: (১৩ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪৭মিঃ) বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে হরিলুট চলছে দির্ঘদিন থেকেই। আর ওই হরিলুট করার জন্য সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংককে। অধিকাংশ গ্রুপের মালিকরাই তা করছেন। হরিলুট করতে গিয়ে একের পর এক ব্যাংক ফাঁকা করে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের পকেট ভরছেন। আর নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন।

ওই টাকা নেয়ার ব্যাপারে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা থেকে এমডি, চেয়ারম্যান, পরিচালনা পরিষদ সহায়তা করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে সহায়তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তা। সব ব্যাংক অন্যায় ও অনিয়ম করলে তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা যাদের-তারাও ম্যানেজ হয়েই আছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

কিন্তু হলমার্কের বেলায় যেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল, অন্য অনেক বড় বড় ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত চোখে পড়ছে না বলে উদ্বেগজনক অনুসন্ধানী একটি প্রতিবেদন উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষার সর্বাধিক প্রচারিত ঠিকানা’য় প্রকাশিত হয়েছে।

সে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, হলমার্ক আড়াই হাজার কোটি টাকা নিলেও এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা নিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এস আলম গ্রুপ কেবল ইনল্যান্ড বিল পার্চেজ করেই নিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।এছাড়াও অন্যান্য ঋণও তারা নিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, তাদের ব্যাপারে সরকারের প্রভাবশালীদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা রয়েছে বলেই কেউ কিছুই বলছে না। তারা টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সব অনিয়মের কথা জানলেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারেন না বলেও ওই সংবাদে বলা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মহা কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। এক ব্যাংক থেকে টাকা অন্য ব্যাংকে নেয়া হয়েছে। ঋণ নেয়া ব্যাংকের টাকা কাগজে-কলমে লেনদেন করে পরিশোধ দেখানো হলেও আবার ওই টাকা নতুন করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। ফলে ব্যাংকের মূল টাকা চলে গেছে চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত গ্রুপ এস আলমের হাতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হিসাব মতে, ওই টাকার পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি। ওই টাকা নেয়া হয়েছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক রয়েছে।

সূত্র জানায়, এস আলম গ্রুপের মালিক আলহাজ মো. সাইফুল আলম মাসুদ নানা কৌশলে ও সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে প্রভাবশালীদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে কেবল ইনল্যান্ড বিল পার্চেজ (আইবিপি) করেই নেন ১৭ হাজার কোটি টাকা, যা ফান্ডেড দায়। এসব টাকা নেয়া হয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা, আগ্রাবাদ শাখা, রূপালী ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখা, লালদীঘির পূর্বপাড় শাখা, খাতুনগঞ্জ শাখা, আমিন মার্কেট শাখা, জনতা ব্যাংক লালদীঘির পাড় ও আগ্রাবাদ শাখা, অগ্রণী ব্যাংক লালদীঘির পাড় শাখাসহ সেখানকার আরো একটি শাখা।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সুগার ও ফুড গ্রেইনের নামে আইবিপি করে এই ১৭ হাজার কোটি টাকা তারা হাতিয়ে নেয়। এই টাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিয়েছে। ওই টাকার পরিমাণ আরো ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র জানায়, ওই টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য তারা আশ্রয় নিয়েছে এমন এক কৌশলের, যা সাধারণভাবে ভাবাও অসম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, তারা পাঁচ হাজার ব্যাংক হিসাব খুলেছে। ওই সব হিসাবে বিভিন্নভাবে টাকা লেনদেন হচ্ছে। তারা ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের ঋণ নেয়া ছাড়াও এলসি, এলডিআর করা, বিল ইসু্যকরণসহ বিভিন্ন ভাবে লোন নিচ্ছে। আর ওই ঋণের পরিমাণ এক একটির বিপরীতে ২০০০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, সিমেন্টের উপাদান, গম, তেল আমদানি করার জন্য এক এক জাহাজের জন্য ২০০০ কোটি টাকা থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার এলসি খোলা হয়। আইবিপি করা হয়। আইবিপি এর টাকা পুরোটা তুলে নিলেও এলসির টাকা মাল এলে তারা ওই টাকা আবার অন্য ব্যাংক থেকে এনে ওই হিসাবে জমা করে। এর পরই আবার ব্যাংক তাদের নতুন করে সুবিধা দেয়। অনেক সময় অন্য ব্যাংকের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। তিন মাস পর আর ওই নন-ফান্ডেড দায় জনতা ব্যাংকের ওপর এসে বর্তাচ্ছে।

ব্যাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র আরো জানায়, এস আলম গ্রুপের নামে আগে এলসি, বিল ও ঋণের ব্যাপারে অনেক অনিয়ম ছিল। তাদের ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে বলার পর তারা টাকা বিভিন্ন জায়গা থেকে এনেও দেয়। কিন্তু আসলে এখন অনিয়ম হলেও ভিন্নভাবে হচ্ছে এটা কাগজে-কলমে ফাঁক থাকছে না। কারণ এখন তারা ব্যাংকের টাকাই লেনদেন করছে, নিজেরা টাকা বিনিয়োগ করছে না। কেবল যা করছে, তা হচ্ছে এক শাখা থেকে টাকা অন্য শাখায় ও এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে নেয়ার ঘটনা। আর বিভিন্ন ব্যাংকে ইনল্যান্ড বিল পারচেজ করে টাকা বের করে নিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে তারা জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এমডি, ডিএমডি, জিএম, ডিজিএমসহ সবাই সহযোগিতা করছেন। এ জন্য তারা মসোহারা পেয়েছিলেন। কেউ কেউ এখনো পাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, অনেকেকেই তারা এককালীন টাকাও দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রামের ডিজিএম মো. সোলায়মান, ইব্রাহিম ভূঁইয়া, আবুল বাসার ও দীপঙ্কর ভট্টচার্য প্রতি মাসে এস আলম গ্রুপের অফিসে যান। সেখান থেকে তারা মাসোহারা নিয়ে আসেন। সেটি তারা নেন এবং চট্টগ্রামের জিএম মাসুম কামাল ভূঁইয়া ভাগ দেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জন্য আবার আলাদা মাসোহারা পাঠান এস আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা সবই জানি কিন্তু সবাই ম্যানেজ। তাই কিছুই করতে পারছি না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এস আলমের সবচেয়ে বড় ব্যবসা হচ্ছে চট্টগ্রামে। সেখানে তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। চট্টগ্রামে তাদের মূল ব্যবসা হলেও ঢাকার অনেক ব্যাংক থেকেও তারা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকেই ঋণ নিয়েছে ১১০০-১২০০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের ডিএমডি গোলাম সারোয়ার বলেন, এস আলম বড় গ্রুপ। তারা বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে অনেক ঋণ তারা নিচ্ছে আবার অনেক ঋণ তারা পরিশোধ করছে। তিনি বলেন, এখন ১১০০-১২০০ কোটি টাকার ঋণ আছে। ওই ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি বলেন, অনিয়ম হয়েছে কি না, সেটা আমি বলতে পারব না।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শাখার ডিজিএম মোস্তফা কামাল বলেন, এস আলম গ্রুপ জনতা ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে শুনেছি। ৫-৬ বড় ব্যাংক রয়েছে। সেখান থেকেও টাকা নিয়েছে। তারা জনতার অনেক পুরনো কায়েন্ট। তারা ব্যাংক থেকে টাকা নেয় এবং জমা দেয়। ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে কিনা বলতে পারব না। তবে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা এলসি সুবিধা নিয়ে থাকে। আরো অনেক ধরনের ঋণ পায়। তিনি বলেন, আগে তাদের ঋণের বেলায় অনেক অনিয়ম ছিল। তারা টাকা নিয়ে তা দিত না। এ কারণে তাদের সতর্ক করে টাকা পরিশোধ করার জন্যও বলা হয়। তারা এর পর থেকে টাকা দিচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক কর্মকর্তা এস আলমের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পাওয়ার পাশাপাশি এজন্য এককালীন টাকা পাচ্ছেন। অন্যদেরও সহায়তা করেছেন, যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জমা না দেয় এবং তারা যেসব শাখায় টাকা লেনদেন করে ওই শাখা তদন্ত না করা হয়। তার বিভাগের একজন কর্মকর্তা তার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি টাকা নিয়েছেন এস আলমের কাছ থেকে। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট আছে। এ কারণে সবাই সুবিধা পান। এমনকি জিএমকে পর্যন্ত তারা ম্যানেজ করে ফেলেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ডিজিএম সোলায়মান দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে ছিলেন। পরে তাকে একবার বদলি করা হয়। তিনি ঢাকায় আসেন বছর দুয়েক আগে। তিনি ঢাকায় আসার পর এস আলম গ্রুপের অসুবিধা হওয়ার কারণে এস আলম নিজেই ওপরের মহলের কাছে বলে তাকে আবার বদলি করে নিয়ে যান। এখন তিনি সেখানেই রয়েছেন এস আলমের পক্ষে কাজ করছেন।

জানা গেছে, এস আলম গ্রুপ এর ঋণ ও এলসি কেবল কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডির নামে আলহাজ মোঃ সাইফুল আলম মাসুদের নামে খোলা হয় বা তার নামে সব করা হয় এমন নয়। তার ভাইদের নামেও করা হয়। তার ভাই তার কোম্পানির পরিচালক রয়েছেন। তারা গ্রুপেরও পরিচালক। ওই ভাইয়েরাও তার ব্যবসা দেখেন। চট্টগ্রাম অফিস ছাড়াও ঢাকায় অফিস রয়েছে। জানা গেছে তার গ্রম্নপের অধীনে ৩৩টি কোম্পানি রয়েছে।

এর মধ্যে ফুড ও ফুড গ্রেইন, তেল, তেল রিফাইন্ড, সিমেন্ট, স্টিল, কোল্ড রোলেড স্টিল, ইস্পাত, প্রাকৃতিক গ্যাস, পাওয়ার জেনারেশন, লাক্সারি চেয়ার কোচ, শিপিং, হাউজিং, ব্যাগ তৈরির কারখানা ছাড়া বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এস আলম সয়াসিড এক্সটাকশন পস্ন্যান্ট, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, এস আলম সুপার এডিবেল অয়েল, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ড্রাস্ট্রি, এই নামে আরো একটি ইউনিট ২, এস আলম ট্রাক টার্মিনাল লিমেটেড, সিমেন্টের মধ্যে রয়েছে, এস আলম সিমেন্ট, পোর্টম্যান সিমেন্ট, স্টিলের মধ্যে রয়েছে-এস আলম স্টিল, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, গ্যালকো স্টিল বিডি, গ্যালকো স্টিল বিডি ২, সিমন ইস্পাত লিমিটেড, পাওয়ার ও এনার্জির মধ্যে রয়েছে, কর্নফুলী প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি, শাহ আমানত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি, এস আলম পাওয়ার পস্নান্ট, এস আলম পাওয়ার পস্নান্ট-২, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমেটেড, এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ, শিপের মধ্যে রয়েছে বেয়ারিং সি লাইন, এস আলম অ্যান্ড কোম্পানি, ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মধ্যে রয়েছে এস আলম ব্যাগ ম্যাকুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড, প্রপার্টিজের মধ্যে রয়েছে, এস আলম প্রপার্টিজ, হাসান আবাসন লিমেটেড, মর্ডান প্রপার্টিজ, ওসেন রিসোর্ট লিমিটেড, প্রাসাদ প্যারাডাইজ লিমিটেড, মেরিন এম্পায়ার লিমেটেড, এগ্রা বেইজ রয়েছে এস আলম হ্যাচারি, ফতিহাবাদ ফার্ম লিমেটেড, ট্রেডিংয়ের মধ্যে রয়েছে এস আলম ব্রাদার্স, এস আলম ট্রেডিং কোঃ, সোনালী কার্গো লজিস্টিকস, সোনালী ট্রেডার্স গেস্নাবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর এসব কোম্পানির মধ্যে সিমেন্ট, সুগার, তেল, ফুড গ্রোইন, খাদ্যশস্য আমদানির নামেই হাজার হাজার কোটি টাকার এলসি করা হচ্ছে। বিল তোলা হচ্ছে। জনতা ব্যাংক আর রূপালী ব্যাংকের এলসি ও বিল করে অন্য ব্যাংকের কাছ থেকেও তারা টাকা তুলে নিচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আবুল খায়ের গ্রুপ নিয়ে গেছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। ওই সব টাকার মধ্যে বড় অংশ গেছে ইনল্যান্ড বিল পার্চেজের নামে। আর বাকি টাকা এলসি, এলডিআরসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণের নামে গেছে। তারা টাকা নিলেও টাকা পরিশোধ করছেন না। কেবল ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যাংকের গ্যারান্টি পাওয়ার জন্য যতটুক দরকার তা দিচ্ছেন । তাও আবার এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে দিচ্ছেন। ফলে তারা বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকার সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডিজিএম ইন্সিপেকশনের দায়িত্বে আছেন। তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, আবুল খায়ের গ্রম্নপ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে গেছে। তাদের কাছে এস আলম গ্রম্নপ কিছুই না। তারা প্রায় সব ব্যাংক থেকেই টাকা নিয়েছেন।

কোন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন। এটা আমার জন্য বলা সহজ কোনো ব্যাংক থেকে টাকা নেয়নি। কারণ তারা প্রায় সব ব্যাংক থেকেই টাকা নিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ সোলায়মান বলেন, আবুল খায়ের গ্রুপও প্রচুর টাকা নিয়েছেন। তারা আবার কাজেও লাগাচ্ছেন টাকা। তাদের ফ্যাক্টরির তো অভাব নেই। অনেকেই তো টাকা নিয়ে কাজে লাগান না। তবে তারা যে পরিমাণ টাকা নিয়েছেন, এটা এস আলমের চেয়ে অনেক বেশি। যারা টাকা নিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে বলেন, তারা টাকা নিচ্ছেন দিচ্ছেন। এটা তারা করতেই পারেন। তিনি তাদের টাকা দেওয়ায় অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন। বলেন, এটা ব্যাংকগুলো দিচ্ছে। তারা ভালো কায়েন্টের জন্য অনেক কিছুই করতে পারে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)