বৃহস্পতিবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ২০১৭ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পরিবর্তন
২০১৭ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পরিবর্তন
অনলাইন ডেক্স :: ২০১৭ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পরিবর্তন হচ্ছে। এমসিকিউতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ১০ নম্বর কমছে। অপরদিকে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে ১০ নম্বর বাড়ছে। এ ছাড়া আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের দুটি পাবলিক পরীক্ষায় সৃজনশীলের আগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে সভাপতিত্ব করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় এমসিকিউ পরীক্ষার নম্বর কমানোর পর বর্তমানে যেসব বিষয়ে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয় সে সব বিষয়ে ৩০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। আর যে সব বিষয়ে ৩৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয় সে সব বিষয়ে পরীক্ষা হবে ২৫ নম্বরে। এ দুটি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে কমানো ১০ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে যুক্ত হবে। এতে আরও বলা হয় পরীক্ষার হলে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে আগামী বছর ২০১৬ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের পরীক্ষার আগে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে এ দুটি পাবলিক পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের পরীক্ষার পর এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
সভায় জেএসসি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া দিনের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এ জন্য জেএসসি ও এসএসসিতে মৌলিক বিষয়গুলোর পাবলিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং অন্য বিষয়সমূহের স্কুলভিত্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের এ আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক শিক্ষাবিদf বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা সেমিনার কর্মশালার আয়োজনসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রশ্নপত্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষায় পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও প্যাকেটজাতকরণে বিজি প্রেসকে সম্পূর্ণ অটোমোশনের আওতায় আনার কথা বলেন সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটিবিচ্যুতি পরিহার করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময় বৃদ্ধি ও প্রাইভেট কোচিং নিরুৎসাহিত করার জন্য আরো উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে। সেইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের মান পরিমাপের বিষয়টি যথার্থভাবে কীভাবে করা যায় তেমন একটি পরীক্ষা পদ্ধতি খোঁজার তাগিদ দেন তিনি।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কলেজের প্রধানসহ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।