রবিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » ঢাকা » অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবেনা
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবেনা
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে অনুষ্ঠিত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন আমলাদের প্রভাবে একের পর এক জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।আমলারা সরকারকে জিম্মি করে ফেলছে কিনা সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, যে আমলাদের সাথে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের কোন সম্পর্ক ছিলনা তাদের পরামর্শে সরকারকে ভুল করলে চলবেনা। তিনি আমলাদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য বিলোপে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন মনোযোগ দেখা যাচ্ছেনা। রাজনৈতিক সংস্কারে সরকারের যত আগ্রহ সমাজের সীমাহীন বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের তেমন আগ্রহও নেই। অথচ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য দূর করতে না পারলে উপরসা রাজনৈতিক সংস্কার তেমন কোন কাজে দেবেনা, রাজনৈতিক সংস্কার টেকসইও হবেনা।
তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি এখনও অনেকটা বেসামাল। সরকার কোনভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। তিনি বলেন সাড়ে পাঁচমাস পর বাজার নিয়ন্ত্রণে এখন জনগণ সরকারের আর কোন অজুহাত শুনতে চায়না। তিনি বলেন, মানুষকে স্বস্তি আর নিরাপত্তা দিতে না পারলে ভালো রাজনৈতিক সংস্কারও মানুষ গ্রহণ করতে পারবেনা।
তিনি বলেন, আআমলাতান্ত্রিক ভাবে পণ্যের উপর ভ্যাট ও কর আরোপের সিদ্ধান্ত বাজারের আগুনে পুড়তে থাকা মানুষের উপর বিপদ চাপিয়ে দেয়ার সামিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ যখন দিশেহারা তখন এই পদক্ষেপ কষ্টে থাকা মানুষের দূর্ভোগ আরও চরমে নিয়ে যাবে।এসব পদক্ষেপ একদিকে গরীব ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা আরও ঝুঁকিতে ফেলে দেবে, আর অন্যদিকে শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পেলে পণ্যের উৎপাদন খরছ বাড়বে, বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন।
তিনি বলেন, সরকারের অদক্ষতা ও দের ব্যর্থতার দায়ে মানুষ শাস্তি পেতে পারেনা।তিনি আইএমএফ এর পরামর্শে নেয়া নিত্য ব্যবহৃত পণ্যের উপর ভ্যাট ও করবৃদ্ধির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।।সরকারের সাম্প্রতিক এইসব পদক্ষেপ বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। তিনি আমলাতান্ত্রিক ভাবে নেয়া এসব সিদ্ধান্তসমূহ প্রত্যাহার করার আহবান জানান।
তিনি আদিবাসী ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী ও পুলিশী হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং বলেন এই হামলা আক্রমণকারী গণঅভ্যুত্থান, দেশবিরোধী শক্তি। এদের তৎপরতা হিংসা ও বিভাজনের রাজনীতিকে আরও উসকিয়ে দেবে। তিনি অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, সাইফুল ইসলাম, মীর রেজাউল আলম, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য জামাল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে পার্টির বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, বিজয়নগর হয়ে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।