শুক্রবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর এবং মুন্সিরঘাটা এলাকায় এই ঘটনাগুলো ঘটে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে৷ জানাযায়, গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থিত রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নবগঠিত কমিটির কর্মকর্তাদের সাথে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময় সভা ছিল। সভা শেষে পরিষদ অফিস থেকে মাঠে নামলে সেখানে অবস্থানরত গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি ও হাতাতির হলে। পরবর্তীতে সেখান থেকে সদরের মুন্সিরঘাটার (চট্টগ্রাম- রাঙামাটি) মহাসড়কে বিএনপির দুই গ্রুপ’ই আলাদা মিছিল নিয়ে বাহির হলে সেখানে দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থিত আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী আমরা উপজেলা এবং পৌরসভা বিএনপির নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ রাউজানের যোগদান করা নবাগত ইউএনওর সাথে মতবিনিময় করি। ফেরার পথে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দীন চৌধুরীসহ অনন্ত ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের সমর্থিত সাবের সুলতান কাজল বলেন, দীর্ঘদিন আমরাই আন্দোলন সংগ্রাম করে হামলা মামলার শিকার হয়েছি। আমরা ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছি। গত ১৭ বছর আমরা রাউজানের মাঠিতে আসতে পারেনি। দীর্ঘ ১৭বছর আওয়ামী লীগের সাথে সহবস্থান করা একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে পুনঃর্বাসন করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলায় আসে৷ এসময় আমাদের কিছু নেতাকর্মী সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাবে উপজেলা প্রাঙ্গনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তারা গালাগালি ও হামলা করে। তারা আওয়ামিলীগ কর্মীদের নিয়ে পকেট কমিটি করে সেই কমিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময় করেন। এর প্রতিবাদ জানালে তারা হামলা করে আমাদের শহীদ, নবী, রিয়াজ, রাব্বি সহ ৫-৬ জনকে আহত করেন বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘ইউএনওর সাথে আমাদের নবগঠিত কমিটি মত বিনিময় করার কথা ছিল৷ ফেরার পথে কি হয়েছে আমি এখনো অবগত না।’ তবে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বীন মাজেদ বলেন, ৪০-৫০ জনের বিএনপির একটি গ্রুপ আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। উপজেলায় প্রাঙ্গনে আজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং স্কাউটসের সহ দুটি পৃথক প্রোগ্রাম চলছে। উপজেলা প্রাঙ্গনে কোন সমস্যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি বলে তিনি জানান।
এদিকে রাউজান থানার ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনার খবর শুনেছি৷ তবে কোন পক্ষই এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।