রবিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জে অষ্টপ্রহরব্যাপী কীর্তন বিভিন্ন পেশার মানুষের ঢল
নবীগঞ্জে অষ্টপ্রহরব্যাপী কীর্তন বিভিন্ন পেশার মানুষের ঢল
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জের সীমান্তবর্তী আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল বনগাও হাছনখালি এলাকায় বটগাছের নীচে অবস্থিত আধ্যাতিক জগতের মহাপুরুষ অলৌকিক শ্রী শ্রী দূর্লভ ঠাকুরের পূণ্য লীলা ভুমিতে মন্দিরের ৪৬তম বার্ষিক উৎসব উপলক্ষ্যে অষ্টপ্রহরব্যাপী কীর্তন ২৫ জানুয়ারী শনিবার দিনরাতব্যাপী অনুষ্টিত হয়ছে। সিলেট বিভাগের চার জেলার মিলনস্থল নবীগঞ্জ শেরপুর সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী উক্ত মন্দিরে বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্যনীয়। প্রাচীন লোকজনের ভাষ্যমতে জানাযায়, শ্রী শ্রী দূর্লভ ঠাকরের এই মন্দিরে কোন ভক্ত যদি কোন মানস করে তার প্রতিপলিত হয় তাদের ব্যক্তি জীবনে। তাই হিন্দু মুসলমান ধর্মের মানুষের মধ্যে অত্যন্ন সৌহার্ধ্যপূর্ন পরিবেশে প্রতিবছর এই মন্দিরে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে বার্ষিক উক্ত অনুষ্টানে। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্টানমালার মধ্যে কীর্তন পরিবেশন করেন, কানাই লাল সম্প্রদায়ের শ্রী যুক্ত রজত কান্তি গোস্বামী , শ্রী শ্রী কানুপ্রিয় সম্প্রদায়েরে শ্রীযুক্ত মিন্টু সরকার,শ্রী শ্রী দয়াল ঠাকুর সম্পাদায়ের শ্রীমতি সুমিত্রা পাল,শ্রী শ্রী কিশোরী সম্পাদায়ের শ্রীযুক্ত গিরিরাজ দাস জুয়েল।উৎসব কমিটির সভাপতি রথীন্দ্র সুত্রধর রকেটের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সস্পাদক বাবুল সুত্রধর,সাধন সুত্রধর,যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিত রায়,সহ সম্পাদক অরুন সুত্রধর,অশক দেব,রিপন দেব,উজ্বল দাস,দুলন সুত্রধর,রতিশ গোপসহসঅন্যান্য উপদেষ্টাদের সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন,নবীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ আইডিয়াল ইউমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ নজির আহমদ,নিধির সুত্রধর,অশক দেব,সুমি রানী পাল,শুভশ্রী পালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দসহ ১০ হাজারের বেশি ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে। আজ দুপুরে দধিভান্ড ভঞ্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
নবীগঞ্জর স্বামী ও তার পরিবারের যৌতুকের স্বীকার গৃহবধু কেয়া
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের দ্বারা যৌতুক ও নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধু কেয়া রানী দাশ এখন চরম বিপাকে । বারবার স্বামী রিপন দাশের শারিরিক আঘাতে আক্রান্ত হলে সমাজপতিদের কাছে কোন সুবিচার না পেয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে কোর্ট থেকে নবীগঞ্জ সমাজসেবা অফিস ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশে প্রেরন করা হয়ে। দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে নবীগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার অঃ দাঃ বিদ্যুত দাশ এবং নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে বিবাদীরা পক্ষ নিয়ে তদন্তে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বিবরন জানাযায়,নবীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড গয়াহরি গ্রামের চা দোকানের কর্মচারী দিজেন্দ্র দাশের কন্যা কেয়া রানী দাশের ৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয় কুর্শি ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের,, দাশের পুত্র রিপন দাশের সাথে । তাদের ঘরে ২ টিকে সন্তান ও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নেশাগ্রস্থ রিপন প্রায় সময়ই মাতাল হয়ে তার স্ত্রী কেয়া রানীকে মারপিট করতো এমনকি তার বাপের বাড়ী থেকে নেশার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো। এরই জের ধরে গত ১৯ জুলাই ২০২৩ ইং রিপন দাশ মাতাল হয়ে তার ভাই ও মায়ের সামনেই কেয়া রানী মারধোর করতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে কেয়ার মা জবা রানী দাশ গহরপুর গ্রামে মেয়ের বাড়ীর গিয়ে মারপিটের কারন জানতে চান । এ সময় নেশাগ্রস্থ রিপন তার শাশুরীকে মারপিট করে ঘরে তালাবদ্ধ রাখে। বিষয়টি নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে তৎকালীন থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন সরকারের নের্তৃত্ব একদল পুলিশ গিয়ে কেয়া রানী ও তার মা জবা রানীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। পরে এনিয়ে বেশ কবার শালিস বিচারের চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। নিরুপায় হয়ে কেয়া হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ ধারা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে হবিগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নবীগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার অঃ দাঃ বিদ্যুত কুমার দাশকে দায়িত্ব দেন। বিবাদী রিপন দাশ তদন্ত কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ায় সুবাধে দায় সাড়াভাবে তদন্ত করে বিবাদী পক্ষে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য নবীগঞ্জ থানায় প্রেরন করলে ওসি কামাল হোসেন সেটা ওসি তদন্ত দুলাল মিয়াকে দায়িত্ব প্রদান করেন। দুলাল মিয়া শালিসে নিষ্পত্তির নামে কালক্ষেপন করতে থাকেন। তদন্ত কালে মামলার বাদী কেয়া রানী দাশ বিবাদী রিপন দাশের ঘরে তার জীবনের নিরাপত্তা নাই বলে জানান। এ সুযোগে বিবাদী রিপন দাশের সমন্ধী রাহুল দাশ সাবেক ওয়ার্ড কাউস্নিলরের সহযোগীতায় উৎকোচের মাধমে ওসি তদন্ত দুলাল মিয়াকে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট আটকে রাখেন। এর মধ্যে উক্ত মামলার দুটি তারিখও চলে যায়। তদন্ত প্রতিবেদন না পাটানোর কারন জানতে চাইলে ওসি তদন্ত দুলাল মিয়া বিষয়টি মিমাংশার অযুহাতে বিভিন্ন টালবাহানা করে গন্যমান্য ব্যক্তিকে জবাব দেন। ওসি তদন্তের এমন আচরনে হতবাক হয়ে যান সবাই। পরবর্তীতে কয়েকটি তারিখ অতিবাহিত করে বিবাদীরা পক্ষ নিয়ে একটি দায় সাড়া রিপোর্ট হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরন করেন। নিরুপায় হয়ে বাদী কেয়া রানী দাশ আবারো কোর্টে নারাজির প্রস্তুতি নিচ্ছেন । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দুলাল মিয়ার কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি।