রবিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা ৪৮ ঘণ্টায় হয়নি মামলা
রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা ৪৮ ঘণ্টায় হয়নি মামলা
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো হত্যা মামলা দায়ের হয়েনি। খবর নিয়ে জানা গেছে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে শনিবার সকালে কাপ্তাই সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে দুপুর ২টায় দিকে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বিকেলে নামাজের জায়নাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাকে শেষ বিদায় দেওয়ার জন্য হাজারোও মানুষের ঢল নামে। এলাকাবাসী বলেন, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর একজন যেমন সৎ ব্যবসায়ী ছিলেন, তেমনি একজন দানবীর মানুষ ছিলেন। কোন রাজনীতি সঙ্গে জড়িত নেই তিনি। এ ধরনের হত্যা অবশ্যই নিন্দনীয়। রাউজানে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাপক হারে অবনতি হয়েছে। রাত হলে গুলাগুলির শব্দে মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। এলাকার একজন ভালো মানুষকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা এরচেয়ে বড় অপরাধ আর হতে পারেনা। জাহাঙ্গীর আলমের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত প্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাছি। তবে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তারা লাশের দাফন সম্পূণ করে পারিবারিক আলাপ-আলোচনা করে হয়তো শনিবার রাতে মামলা করতে পারেন বলে জানান।
এবিষয়ে রাউজান থানার ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত হত্যার ঘটনায় পরিবার মামলা করেনি। তিনি বলেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা আসামীদের শনাক্তে কাজ করছি।
উল্লেখ, গত শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম শহর হতে নিজ গ্রামের বাড়িতে ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম জুমার নামাজ পড়তে আসার পথে মুখোশধারীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। এই ঘটনায় তার সহকর্মী আব্বাস উদ্দিন ও ইদ্রিস নামে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত জাহাঙ্গীর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষ পাড়া গ্রামের আবু সৈয়দের ছেলে।
রাউজানে ১ কৃষকের ৫ গরু চুরি
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুরে এক কৃষকের বাড়ি থেকে ৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরুগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. ইউনুচ। ২৫ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ জোমা চৌধুরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গরু মালিক মো.ইউনুচ জানান, আমরা প্রতিদিরেন মতো রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। রবিবার সকালে তিনি গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন তালা ভাঙা ভেতরে গিয়ে দেখেন ৫টি গরুর মধ্যে একটিও গরু নেই। তিনি বলেন এরপর এলাকার আশপাশে খোঁজাখুঁজির করে কোথাও গরুর সন্ধান পায়নি। পরে রাউজান থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। গরুগুলো হারিয়ে আমি নিংস্ব হয়ে পড়েছি।
এবিষয়ে রাউজান থানার ওসি একএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, গরুরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। চুরি হওয়া গরুগুলো উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।