![লামায় অপহৃত জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে এসেছে একজন](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/2025/02/2617-micro.jpg)
![CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/fileman/logo.jpg)
বুধবার ● ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ের ইউএনও জেরিনের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
মিরসরাইয়ের ইউএনও জেরিনের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
--- মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিনের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তারা। এই নিয়ে মিরসরাইয়ের পুরো ব্যাংক পাড়ায় চলছে নানান সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এমনটি জানা যায়।
এরআগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে মিরসরাই উপজেলা কনফারেন্স কক্ষে কৃষিঋণ সম্পর্কিত এক মিটিংয়ে এই অশোচনীয় আচরণের ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মাসে কৃষি লোনের সার্টিফিকেট মামলা সংক্রান্ত একটি মিটিং মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে ও মিরসরাই কৃষি ব্যাংক ম্যানেজারের আয়োজনে উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ৩ টায় জানুয়ারি মাসের মিটিং নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিরসরাইয়ে পরিচালিত প্রায় ২৭ টি ব্যাংকের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।
এদিকে জানা যায়, মিটিংয়ের নির্ধারিত সময় পার হয়ে প্রায় সোয়া ৪টার দিকে মিটিং স্থালে উপস্থিত হয় ইউএনও। এসময় এসেই তিনি বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে ম্যানেজার যারা না এসে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন তাদের সাথে উত্তেজিত হয়ে মিটিংস্থল ত্যাগ করতে বলেন।
ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, পূর্বের এমন কোন নির্দেশনা ছিল না যে মিটিংয়ে ম্যানেজার ছাড়া অন্য কোন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করা যাবে না। যদি ব্যাংক ম্যানেজাররা উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক হতো তাহলে প্রতিনিধি হিসেবে তারা উপস্থিত হতেন না।
তারা আরও জানান, ঘটনাস্থলে কেউ কোন উত্তর দেয়ার আগেই তাদেরকে নাস্তা করতে বারণ করেন এবং বেশকয়েকজন কর্মকর্তাকে মিটিং কক্ষ থেকে তাড়িয়ে দেন। তার এমন দায়িত্বহীন আচরণে উপস্থিত ব্যাংকাররা হতভম্ব হয়ে পড়েন ও মুখের নাস্তা রেখেই স্থান ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগী প্রিমিয়ার ব্যাংক মিরসরাই শাখার ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল জামান ইকবাল বলেন, আমাদের ম্যানেজার স্যারের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে মিটিং এ পাঠানো হয়। মিটিংয়ে ইউএনও ম্যাডাম আসতে বিলম্ব হওয়ায় আমাদের নাস্তা সরবরাহ করা হয়। আমরা নাস্তা করা কালীন তিনি উত্তেজিত অবস্থায় কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেই চেঁচামেচি শুরু করেন। তিনি বলেন- ম্যানাজার না এসে আপনারা কেন এসেছেন? যান সবাই বের হয়ে যান , নাস্তা করা লাগবেনা রাখুন নাস্তা। এতে আমরা অপমানিত হয়ে মুখে নাস্তা রেখেই বের হয়ে যাই।
পুবালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা শরিফ উদ্দিন বলেন, মিটিংয়ে সবাই শিক্ষিত লোক ছিল। সবাই ব্যাংক কর্মকর্তা। তার কোন আপত্তি থাকলে শালীনতার সাথে বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি না করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সবাইকে কনফারেন্স কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন। এবিষয়ে আমরা সঠিক বিচারের আশা করছি। আমরা শীঘ্রই ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এবিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন মুঠোফোনে জানান, মিটিংটি কৃষি সম্পর্কিত বিষয় ছিল। কৃষিঋণ মিটিংয়ে অবশ্যই দায়িত্বশীল ম্যানেজার আসতে হবে। কোন ব্যাংক কর্মকর্তা আমার সাথে কথা না বলে তার প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারবে না। কৃষকদেরকে কতটুকু ঋণ দেওয়া হয়েছে এর পূর্ণাঙ্গ ইনফরমেশন ছাড়া মিটিংয়ে তো অংশগ্রহণ করতে পারবে না এ বিষয়টি যারা প্রশাসক স্যার কে জানানো হবে।
কর্মকর্তাদের নাশতারত অবস্থায় তুলে দেয়ার বিষয়ে জানান, যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া মিটিংয়ে কেন অংশগ্রহণ করবে সভাপতি হিসেবে কোন ম্যানেজার যদি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে না পারে তাহলে তার প্রতিনিধির বিষয়ে আমাকে অবশ্যই জানাবে। নামকাওয়াস্তে মিটিং করে তো কোন লাভ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার কৃষকেরা ঋণ পাচ্ছে না। আমাকে প্রশ্ন করার আগে ব্যাংক ম্যানেজারদের প্রশ্ন করেন বন্যা পরবর্তী সময় কোন কৃষক ও ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিকে কত টাকা ঋণ দিয়েছে।