![রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার ঢাকায় গ্রেফতার](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/2025/02/4869-micro.jpg)
![CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/fileman/logo.jpg)
সোমবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,ফটিকছড়ি :: ফটিকছড়িতে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার হারুয়ালছড়ি,ভুজপুর, দাঁতমারা, বাগানজার, নারায়নহাট, খিরামসহ বিভিন্নস্থানে দেখা যায় পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা ফসলের জমিতে কাজ করছেন।
বিশেষ করে উপজাতী মহিলারা ফসলের মাঠে শ্রমিক (কামলা) হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়। পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকের বেতন কম হওয়ায় চাষারা নারী শ্রমিক দিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
জানা যায়,একজন নারী শ্রমিকের বেতন ছয় শত টাকা অন্যদিকে একজন পুরুষ শ্রমিকের বেতন ৭০০/৮০০ টাকা সাথে তিন বেলা ভাত ও পান সিগারেট খাওয়াতে হয়। নারী শ্রমিক মমিতা বলেন,আমারা পুরুষের মতো কাজ করেও বেতন পাই কম। তবুও দুঃখ নেই মুখে হাসি নিয়ে কাজ করি। কৃষক আমির হোসেন বলেন,আমাদের এলাকা অন্য জেলার শ্রমিকরা কম আসে। স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করায়। নারী শ্রমিক সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকের বেতন কম, যথেষ্ট কাজও করে তারা। এদিকে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলার কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হালচাষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা। গরু ও ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরি, পানি সেচ, বোরো ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠানো শেষে চারা জমিতে রোপণ করে ব্যস্ত পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার হেক্টরের মধ্যে। চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিক মতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৯ হাজার বা সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর পর্যন্ত আবাদ হবে বলে আশা করছে কৃষি অফিস।
উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, প্রতি বছর ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে। ভূজপুরের কৃষক মতিন মিয়া বলেন,আমি ২০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করছি। গতবার মোটামুটি ভালোই লাভ হয়েছে। তাই এবারও বোরো ধান চাষ করব। তবে সারের দামটা একটু কম থাকলে লাভ আরেকটু বেশি হতো। পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ, মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে জমি তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে যায়। কামলা দিয়া চারা বুনি সেই কামলার মজুরিও অনেক। তারপরও আশা করি গেছে বারের চেয়ে আরও ভালো ফলন হবে। ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কঠোর শ্রম দিচ্ছেন। দৈনিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা আমরা শুনছি এবং সার্বিক সহায়তা দিচ্ছি। আশা করছি মূল লক্ষ্যমাত্রার বেশি বোরো ধান চাষ হবে।
এছাড়া উপজেলার কৃষকদের বোরো বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ করা পর্যন্ত সব পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।