বৃহস্পতিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমে ২৪ ঘন্টায় ৪ ঘন্টা বিদ্যুত্
আলীকদমে ২৪ ঘন্টায় ৪ ঘন্টা বিদ্যুত্
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (১৫ বৈশাখ ১৪২৩: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মিঃ) ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে তীব্র লোডশেডিংয়ে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা, অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর গৃহস্থালীর কাজ নিয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন ৷ গত প্রায় এক মাসের ও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের আলীকদম ও লামা উপজেলায় বিদ্যুত্ সংকটে হাহাকার৷ ২৪ ঘন্টার মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুত্ দিয়েই তুষ্ঠ বিদ্যুত্ বিভাগের কর্মকর্তারা ৷ দিনে ও রাতের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুত্ না থাকায় থমকে যাচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ৷ তবে বিদ্যুত্ বিল আদায়ের জন্য বিদ্যুত্ লাইন বিচ্ছিন্ন করা সহ নানা ব্যবস্থা কতৃপক্ষ নিলেও ঠিক মত বিদ্যুত্ সরবরাহ দিচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন গ্রাহকদের অনেকেই৷ তার মধ্যে যে কিছু সময় বিদ্যুত্ থাকে তাতে ভোল্টেজ না থাকায় নিভু নিভু প্রদীপের ন্যায় মিট মিট করে জলতে দেখা গেছে বৈদ্যুতিক বাতিগুলোকে ৷ এদিকে আবহাওয়ার বিবর্তনের সাথে সাথে চাপা ও ভ্যপসা গরমে নানা প্রকার রোগ-ব্যাধির প্রকোপও বেড়েছে ব্যাপক হারে৷
এবিষয়ে দুএকজনের সাথে কথা বলতে গেলে আমাদের এ প্রতিনিধিকে ঘিরে ধরে উপজেলার বেশ কয়েকজন বিদ্যুত্ গ্রাহক, জানালেন বিদ্যুত্ নিয়ে তাদের যত কথা৷ তারা বলেন, মাস গেলে ঠিকই বিলটা হাতে চলে আসে, বিল পরিশোধ করতে না পারলে অতিরিক্ত ফাইন ও দিতে হয়, আবার তার চেয়ে বেশি দেরি হলে লাইন ও বিচ্ছিন্ন করা হয়৷ তবুও আমরা ঠিক মত বিদ্যুত্ পাচ্ছিনা ৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুত্ পাওয়া যায়৷ তাও আবার একাধারে সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিটের জন্য৷ আর ভোল্টেজ তো থাকেই না ৷
সূত্র জানায়, লামা বিদ্যুত্ সরবরাহ এলাকার আওতায় পার্বত্য লামা, আলীকদম ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর এবং বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হচ্ছে ৷ এ বিদ্যুত্ সরবরাহ এলাকায় আবাসিক গ্রাহকের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর জোন হেডকোয়ার্টার, সাব জোন, বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প, লামা উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও আলীকদম উপজেলা ৩০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বেসরকারি দপ্তরসহ বিদ্যুত্ নির্ভর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৷ যার সবগুলোই বিদ্যুত্ এর ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছে ৷
আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাঃ রণি কর্মকার বলেন, নিয়মিত বিদ্যুত্ না পাওয়াতে ফ্রিজজাত যেসব ভ্যাকসিনগুলো রয়েছে সেগুলো সংরক্ষন করা সম্ভব হচ্ছেনা ৷ এছাড়াও হাসপাতালের বেডে যেসব রোগী আছে বিদ্যুতের অভাবে তাদেরও চরম ভোগান্তি হচ্ছে৷
এবিষয়ে কথা বলতে গেলে দায়সারা জবাব দেন লামা বিদ্যুত্ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন৷ চকরিয়া-আলীকদমে ৩৩ কেভি লাইন উন্নিতকরণ, বৈরি আবহাওয়া, রাস্তার গাছকাটাসহ নানা অজুহাতের কথা বলে ফেললেন কয়েক সেকেন্ডই ৷ তিনি বলেন, মুলতঃ লামা বিদ্যুত্ সাব ষ্টেশনকে ১১ কেভি থেকে ৩৩ কেভিতে উনি্নত করার কাজ চলছে৷ এছাড়াও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমাদের লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে ৷