![খাগড়াছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/2025/02/4986-micro.jpg)
![CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/fileman/logo.jpg)
শুক্রবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » গ্যাংগ্ৰিনে আক্রান্ত সিদ্দিকুর রহমান বেঁচে থাকতে চায়
গ্যাংগ্ৰিনে আক্রান্ত সিদ্দিকুর রহমান বেঁচে থাকতে চায়
হ্যাঁ বন্ধুরা, ভারতের বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার সেই অমর ঐতিহাসিক গানের কথায় বলতে হয় : মানুষ মানুষের জন্যে
জীবন জীবনের জন্যে
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু
মানুষ মানুষের জন্যে ……………..।
গ্যাংগ্ৰিনে আক্রান্ত অসহায় মো. ছিদ্দিকুর রহমান (৬৫) আপনার আর্থিক সহায়তা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাকি জীবন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চান। তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বরুলিয়া গ্ৰামের (নোয়াবাড়ী) বাসীন্দা মরহুম ফজলুল হক, মাতা-মরহুমা মরিয়মের নেছার পুত্র।
বিগত ২০২৩ সালের শুরুতে তার বাম পায়ে ব্যাথা বেদনা শুরু হলে তিনি এলাকার কোয়াক ডাক্তার, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার মনসুর হাসপাতাল এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেন। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে তিনি গ্যাংগ্ৰিনে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাম পায়ের বৃদ্ধ আংগুলটি গোড়া থেকে কেটে ফেলে দেন। কিন্তু বাম পায়ের বৃদ্ধ আংগুলটি কেটে ফেলার পর কিছু দিন ভালো থাকেন এর কিছুদিন পর তার বাম পায়ের ব্যাথা আবারও বাড়তে থাকায় তিনি পূণরায় চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। এবার চিকিৎসক তাকে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আবারও কিছু ঔষধপত্র দেন এবং তা নিয়মিত সেবন করার পরামর্শ দেন। অসহায় ছিদ্দিকুর রহমান চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে থাকেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তার বাম পায়ের পাশাপাশি ডান পায়েও প্রচণ্ড ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে। অসহায় ছিদ্দিকুর রহমান আবারও চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক DR. MAINUL MAHMUD (SUNY) এর পরামর্শ নেন। চিকিৎসক এবার তাকে পূণরায় কিছু ঔষধপত্র দিয়ে তা নিয়মিত সেবন করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে থাকেন অসহায় ছিদ্দিক। কিন্তু তার ব্যাথা ভালোতো হয়নি বাম পায়ের পাশাপাশি এবার তার ডান পায়েও ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে। এবার চিকিৎসক পরামর্শ দেন তার পায়ে আরও একটি বড় অপারেশন করতে হবে। আর এই অপারেশনে ঔষধপত্র সহ কমপক্ষে ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে। অর্থের অভাবে অসহায় ছিদ্দিক এখন পায়ের অপারেশন করতে পারছেন না।
ইতিমধ্যে অসহায় ছিদ্দিকুর রহমান বাম পায়ের চিকিৎসায় নিজের জমানো ও মানুষের সহায়তা নিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে ফেলেছেন। কিন্তু পায়ের অসুখের কিছুই হয়নি। তার নিজের এমন কোন সহায় সম্বল নেই যা দিয়ে তিনি পায়ের রোগ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারেন। এমতাবস্থায় গ্যাংগ্ৰিনে আক্রান্ত অসহায় মো. ছিদ্দিকুর রহমান সমাজের বিত্তবানদের নিকট তার রোগমুক্তির জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে হাত বাড়িয়েছেন। সমাজে এমন কেউ কি আছেন যারা গ্যাংগ্ৰিনে আক্রান্ত অসহায় ছিদ্দিকুর রহমানের পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারেন?
উল্লেখ্য, মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকারের দেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ২০২১ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা হিসেবে মাসিক ৬শত টাকা হারে ভাতা পেয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অসহায় ছিদ্দিক ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক। ইতিমধ্যে তিনি ৩ মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। একমাত্র ছেলে মো. ইউসুফ (৩৮)কে ধারদেনা করে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিদেশে পাঠান। কিন্তু কি-এক অজানা কারণে ছেলের বিদেশি কোম্পানির নিয়োগকর্তা তাকে দেশে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়। তার ছেলে মো. ইউসুফের ৩টি শিশু সন্তান রয়েছে। ঋণে অটো রিকশা ক্রয় করে তা চালান যা আয় হয় তার সামান্য কিছু পারিবারিক কাজে ব্যয় করতে পারেন। এদিকে অসহায় ছিদ্দিক তার অসুস্থ শরীর নিয়ে নিজের বাড়ির পাশে ছোট একটি চা দোকান চালান। এই চা দোকানে তার দৈনিক আয় ১৩০টাকা থেকে ১৫০টাকা। যা দিয়ে তার ছেলের ও নিজের ৭ সদস্যের পরিবারের দৈনন্দিন খরচ কোনরকমে চলে।
এমতাবস্থায় যদি কোন হৃদয়বান মানুষ অসহায় মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠাতে চান তাহলে নীচে দেয়া তার ব্যাংক হিসাব নম্বর বা তার বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারেন।
মো. ছিদ্দিকুর রহমান
ব্যাংক হিসাব নম্বর : ২০৫০৭৭৭০২২২৮৮১০০৯,
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি,
এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা,
বিকাশ নম্বর : 01860820097