![ফটিকছড়িতে যুবকের আত্মহত্যা](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/2025/02/22444-micro.jpg)
![CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/fileman/logo.jpg)
রবিবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » আটরশি দরবারে দুই হাজার চুলায় ঘণ্টায় রান্না হচ্ছে ৫ লাখ মানুষের খাবার
আটরশি দরবারে দুই হাজার চুলায় ঘণ্টায় রান্না হচ্ছে ৫ লাখ মানুষের খাবার
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান :: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবারে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী উরসে আসা ভক্তদের জন্য করা হয়েছে বিশাল আয়োজন। দিন-রাত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তদের জন্য প্রায় দুই হাজার সারি সারি সাজানো চুলায় একযোগে চলছে রান্না।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর ফাতেহা শরীফ পাঠ ও তরিকতের আমল পালনের মধ্য দিয়ে উরসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ফরজ আমলের পাশাপাশি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জিকির আজগার, মোরাকাবা-মোশাহেদা, ওয়াজ নসিহত, ওয়াজ মাহফিল এবং সুন্নাত এবাদতের পাশাপাশি নফল এবাদত চলছে। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র উরসে দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক ভক্ত-মুরিদান অংশ নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রান্নার কাজে নিয়োজিত রয়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। কেউ রান্না করছেন ভাত, কেউ ডাল, কেউবা মাংস। প্রতি ঘণ্টায় রান্না হচ্ছে অন্তত ৫ লাখ মানুষের খাবার। রান্নার পর সারিবদ্ধভাবে রাখা হচ্ছে খাবার। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গায়। সেখানে সারিবদ্ধভাবে ভক্তরা মাটির প্লেটে নিচ্ছেন তাদের খাবার। আবার খাওয়া শেষ করে যার যার মতো মাটির প্লেটগুলো ধুয়ে রাখছেন নির্দিষ্ট জায়গায়। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হলেও নেই কোনো বিশৃঙ্খলা। সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয় এ উরসে।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের কমিটি সূত্র জানায়, এখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছেন, যারা রান্নার কাজে নিয়োজিত। অন্তত দুই হাজার চুলায় রান্নার কাজ চলছে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫ লাখ ভক্তদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ২৪ ঘণ্টা ধরে এখানে রান্নার কাজ চলছে। মুসলমান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের খাবারের আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ভাত ও ডাল দিয়ে আলুর লাবড়া, গরু, খাসি ও মুরগিসহ দুম্বার গোস্ত রান্না করা হয়।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের বৃহত্তর ফরিদপুরের কর্মী প্রধান মোঃ কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, এ বছরও লাখো আশেকান-জাকেরান ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরিফে উপস্থিত হয়েছেন। উরসে আসা সবার জন্য তবারকের ব্যবস্থা, রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা ও বিভিন্ন যানবাহন পার্কিংয়ের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। বিশ্বওলী হজরত মাওলানা শাহ সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু. ছে. আ.) কেবলাজান ছাহেবের স্থলাভিষিক্ত পীরজাদা মাহফুজুল হক মুজাদ্দেদী উরস চলাকালীন চার দিনই আশেকান জাকেরানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রদান করবেন। মঙ্গলবার ফজর নামাজ পর শাহসুফি ফরিদপুরী (কু. ছে. আ.) রওজা জিয়ারত করা হবে। এরপর বিশ্ব শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে চার দিনের এই উরস শরীফ। শনিবার ফজর নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উরস মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী মঙ্গল কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।