

মঙ্গলবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
খাগড়াছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে পাওয়ার দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৮ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি চেঙ্গি স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
জেলা সহ-সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চলনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয় সংসদের ২৯৮নং খাগড়াছড়ি আসনের জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার আদায় আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী।
জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান, জামায়াতের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আমীর ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো. ইলিয়াছ, ইসলামী ছাত্রশিবির খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন এবং জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সরকারের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সরকার দলীয় লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। যে সব সাক্ষীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তাঁকে সাজা দেয়া হয়, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। একজন সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৭কি:মি: দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। অপর সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৩কি:মি: দূর থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। এ সব সাক্ষীর বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, সরকার দলীয় এ সব লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্য বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
২০২৪সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসন মুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশন আদালতের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধভাবে বাতিল করে। অনতিবিলম্বে জামায়াতের দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বকৃতারা।
এটিএম আজহারুল ইসলামকে আগামী ২০ফেব্রুয়ারীর মধ্যে মুক্তি, জামায়াতের দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া না হলে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে সমাবেশে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।