

মঙ্গলবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » হবিগঞ্জে নবীগঞ্জে চলন্ত প্রাইভেট কারে আগুন
হবিগঞ্জে নবীগঞ্জে চলন্ত প্রাইভেট কারে আগুন
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত প্রাইভেট কারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও কারটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জনতার বাজার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা সড়কে প্রাইভেট কারে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন এলাকাবাসী।
নবীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ডিউটি অফিসার আব্দুল মুমিন জানান- জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেট কারের আগুন নির্বাপন করি। এঘটনায় কেউ আহত হননি। আগুনের প্রকৃত কারন নির্নয় করা যায়নি।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- খবর পেয়ে জানতে পারি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রাইভেট কারের মালিক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনার স্থানে কাউকে পাওয়া যায় নি।
নবীগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্মশানঘাট সংস্কারে বাধা : ইউএনওর কাছে অভিযোগ
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্মশানঘাট সরকারী বরাদ্দে সংষ্কার কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে ওই গ্রামের নৃপেন্দ্র কর বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে কমলাপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই এই শ্মশানে তাদের মৃত স্বজনদের শেষ কৃত কর্মের সমাধি করে আসছেন। কখনো কেন সময় কোন সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে শ্মশানঘাটের দুরবর্তী স্থানে অন্য জায়গা থেকে আসা কয়েকটি পরিবার বাড়ী তৈরী করে বসবাস করলেও কোন সমস্যা বা বাধাবিঘ্ন আসেনি। ইদানিং সরকারীভাবে পাওয়া অনুদানের অর্থ দিয়ে গ্রামবাসী শ্মশানটি পুনরায় সংস্কারের প্রস্তুতি নিলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্রামবাসী ও ঠিকাদার সেখানে গেলে রুহেল মিয়া, সুজন মিয়া, খালিছ মিয়া, তারেক মিয়া, সহ আরো কয়েকজন শ্মশানঘাটে উপস্থিত হয়ে সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে। এ সময় শশ্মশানঘাট দখল করারও হুমকি দেয় তারা। এতে করে এলাকায় সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে শ্মশান নির্মাণের সরকারী বরাদ্দের কাজ দ্রুত শুরু করা যায় এবং এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে।