

রবিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » শোকর-এ মওলা মনজিল এর ১১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্পন্ন
শোকর-এ মওলা মনজিল এর ১১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্পন্ন
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :: শোকর-এ মওলা মনজিল এর ১১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে “জিকরে শাহানশাহ্, মাইজভাণ্ডারী দর্শন শীর্ষক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল” মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সিনিয়র সদস্য ও জ্যোতি ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে ও আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর -এ মনজিলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফের সঞ্চালনায় শোকর-এ মওলা মনজিল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নাতে মুস্তাফা (দঃ) ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশনের পর অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মাহফিল পরিচালনা কমিটি - ২০২৫ আহবায়ক জনাব মুহাম্মদ আজম। উপদেষ্টা পর্ষদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন ডা. পঞ্চানন দাশগুপ্ত। শোকর-এ মওলা মনজিলের কার্যক্রম সংবলিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন শোকর-এ মওলা মঞ্জিলের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হারুয়ালছড়িস্থ বৌদ্ধ জেতবন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বোধিশ্রী ভিক্ষু এবং জ্যোতি ফোরাম সংশ্লিষ্ট বক্তব্য প্রদান করেন মাহফিল পরিচালনা কমিটি - ২০২৫ সদস্য সচিব জনাব জয়নাল আবেদীন তাওরাত। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও SZHM Trust এর উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্। প্রধান আলোচক উনার বক্তব্যে বলেন, ” ইসলাম হলো ভালোবাসা তথা মহব্বত ও মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নাম। যার কাছে অন্য জন নিরাপদ সেই মুসলমান।” প্রধান অতিথি উনার বক্তব্যে বলেন, “ভালো মানুষ না হয়ে মুসলমান হলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন না। ” সভাপতি উনার বক্তব্যে বলেন, “মুয়াদ্দাত মানে আনুগত্যপূর্ণ ভালোবাসা। যে ভালোবাসা আধ্যাত্মিক ভালোবাসা। যে ভালোবাসার মাধ্যমে রাসূল (দঃ) সান্নিধ্য ও করুণা পাওয়া যায়।” তিনি আরো বলেন, “ভালোবাসার প্রমাণ গুণে। মওলা হুজুর মাইজভাণ্ডারী (মঃজিঃআঃ) কেবলা কাবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দয়ার চাদোয়া তলে থাকার জন্য উনার সদয় ও পবিত্র নির্দেশনা মেনে চলে মানব গুণ অর্জন করতে হবে। মওলা হুজুর মাইজভাণ্ডারী (মঃজিঃআঃ) কেবলা কাবার ভালোবাসায় যত গভীরে আমরা যাব ততই আমাদের লৌকিকতা কমে যাবে।
আমাদের মওলা হুজুর মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবার প্রতি গভীর ভালোবাসা নিবেদনে চেষ্ঠিত থাকতে হবে।” অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে অতিথিগণ শোকর-এ মওলা মনজিল এর নিজস্ব লোগো উন্মোচন করেন। মাহফিলে মাইজভাণ্ডারী সঙ্গীত জগতে অবদান রাখার জন্য ৫ জন বিশিষ্ট শিল্পীকে সম্মাননা স্বরুপ ব্যাচ, উত্তরীয় ও স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও শিক্ষায় বিভিন্ন পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জন করায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।মেধাবী শিক্ষার্থীকে উপহার স্বরুপ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। সভাপতির বক্তব্যের পর আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মওলা মনজিল এর উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সৈয়দ শফিউল আজিম সুমনের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি, পেশাজীবী, সমাজ প্রতিনিধি, ওলামায়ে কেরাম, আশেকানে হক ভান্ডারী, শোকর-এ মওলা মঞ্জিল ও জ্যোতি ফোরামের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ, আশেকানে মুস্তাফা, আশেকানে মাইজভাণ্ডারী, আশেকানে হক ভান্ডারী ও সর্বস্তরের এলাকাবাসী। দেশ, জাতি ও সর্বাঙ্গীন মানবকল্যান কামনায় সভাপতির মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠান পরবর্তী জিকিরে সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সেমা মাহফিল পরিচালনা করেন বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী কাওয়াল মুহাম্মদ দেলোয়ার, হান্নান হোসাইনী এবং মোহাম্মদ আবু সালেহ।