শিরোনাম:
●   পটুয়াখালীতে জমি নিয়ে হামলায় আহত-২ ●   হালদায় অভিযান চালিয়ে ৫হাজার মিটার জাল জব্দ ●   রাউজানে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   মাদক সেবনের দায়ে চুয়েটের ৪ শিক্ষার্থী ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ●   বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা টেকসই ও দূরদর্শী হিসেবে গড়তে হবে : চুয়েট ভিসি ●   ‘কীর্তিমান শিক্ষাবীদ এম এ গফুর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ●   আত্রাইয়ে বিলুপ্তপ্রায় বসন্তের রুপকন্যা শিমুল ●   সময় এবং কাজের যোগফলই জীবনের সফলতা : রাবিপ্রবি’র ভিসি ●   বেতবুনিয়া মূইনুল উলুম রেজভীয় মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থীদের বিদায় ●   রাঙামাটিতে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনে দিনব্যাপী যাকাতের সেমিনার ●   ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাঙামাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ●   কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ঘটনায় রাবিপ্রবি উপাচার্যের উদ্বেগ ●   ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নির্বাচন ●   ফটিকছড়ি মুখরিত বসন্তের পিঠা উৎসব ●   চুয়েট চীফ টেকনিক্যাল অফিসারকে অবসরজনিত বিদায়ে সংবর্ধনা ●   বাঁধন রাবিপ্রবি ইউনিট বিভাগীয় জোন-২ এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ●   সাজেক এ আগুনে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি : ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন, পর্যটক ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত ●   বিশিষ্ট সমাজ সেবক দুলাল কান্তি বড়ুয়া’র মৃত্যু বার্ষিকী পালন ●   মীরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাত’র সংগঠনের কমিটি গঠন ●   সাজেক এ ৯৫টির বেশী রেস্তোরাঁ আগুনে পুড়ে গেছে : পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত ●   রিংরং ম্রোকে আটকের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ●   বাজারফান্ড বিলুপ্ত,সার্কেল চিফকে জেলা পরিষদের সদস্য করতে সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন ●   আলী নূর এর মৃত্যুতে হাজিগঞ্জ মডেল কিন্ডার গার্টেন পরিচালনা পরিষদের শোক ●   রাউজানে ট্রাকের চাপায় নারীর মৃত্যু ●   স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রক্তিম পরিবারের কমিটি ঘোষণা ●   রংপুর বিভাগীয় ট্রাংলরি শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন ফলাফল ●   রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগের টর্চার সেলের সন্ধান ●   শিবগঞ্জে বিএনপির নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্যের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা ●   রাঙামাটির কাউখালী গোদারপাড় এলাকা দিয়ে প্রতিদিন দেশীয় মদ পাচার হচ্ছে
রাঙামাটি, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আত্রাইয়ে বিলুপ্তপ্রায় বসন্তের রুপকন্যা শিমুল
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আত্রাইয়ে বিলুপ্তপ্রায় বসন্তের রুপকন্যা শিমুল
বুধবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আত্রাইয়ে বিলুপ্তপ্রায় বসন্তের রুপকন্যা শিমুল

--- নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: ঋতুরাজ বসন্ত এলেই প্রকৃতিপ্রেমীদেরকে আকৃষ্ট করে থাকে শিমুল ফুল যার প্রেমে বিমুগ্ধ হয়ে নানা কবিতা লিখে প্রাণের আস্বাদন মিটাতো কবিতা প্রেমিরা। কবির কল্পনা জগতকেও আলোড়িত করতো শিমুল গাছের সৌন্দর্য।

শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে লেগেছে তারই ছোঁয়া। প্রতিটি গাছেই আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে দক্ষিণা বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ চারিদিক। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে ফুটেছে নয়নাভিরাম শিমুল ফুল।

কালের বিবর্তনে নওগাঁর আত্রাইয়ে আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়। বিগত এক-দেড় যুগ আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে আর রাস্তার ঢালে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেতো। প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্ত।

শিমুল গাছের শাখাগুলো বসন্তের আগমনে লাল শাড়ির ঘোমটা পরা গ্রাম্য নববধূর সাজে সজ্জিত হতে দেখা যায়, যা দর্শনে হতাশ প্রেমিকের মনেও জাগিয়ে তোলে আশা। অন্যান্য গাছের তুলনায় শিমুল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বহু দূর থেকে এ মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে। জোয়ার এনে দেয় কবির কল্পনার জগতে। কেবল সৌন্দর্যই বিলায় না শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব¡।

জানা যায়, প্রাকৃতিক ভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম “বোমবাক্স সাইবা লিন”। এটি বোমবাকাসিয়াক পরিবারের উদ্ভিদ। বীজ ও কা-ের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ৫-৬ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। ৯০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সেই তুলনায় বেশ মোটাও হয় । নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মত এ গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেওয়া হয়না কোন যত্ম। অযত্ম আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। অথচ বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে অকারণে কেটে ফেলছে। অতীতে ব্যাপকহারে নির্মাণ কাজ, টুথপিকসহ নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপরে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করত। এ গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাসস্থল হারিয়ে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। গাছ না থাকায় আবাসস্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রহমত আলী বলেন, আগে গ্রামে অনেক শিমুল গাছ ছিল। এই শিমুল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূল ব্যবহার করত।

ভবানীপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এর পরও এই গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’

এ বিষয়ে শিরোনাম সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক এমরান মাহমুদ প্রত্যয় বলেন, শিমুল গাছ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় উপকারী গাছের তালিকা থেকে এ গাছটি হারিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না বাংলার মাটিতে শিমুল নামের কোন গাছ ছিল।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)