

শনিবার ● ৮ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হেফাজত আমিরের স্বাক্ষর জাল করে ফটিকছড়ির ইউএনওকে বদলির সুপারিশ
হেফাজত আমিরের স্বাক্ষর জাল করে ফটিকছড়ির ইউএনওকে বদলির সুপারিশ
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: হেফাজতে ইমলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীর স্বাক্ষর জাল করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাককে (ইউএনও) বিভিন্ন স্থানে অপপ্রচার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আমীর নিজেই।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আল্লামা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, আমি ফটিকছড়ির ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বদলির সুপারিশের কোন কাগজে স্বাক্ষর করিনি। এগুলো আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ও অপপ্রচার-ষড়যন্ত্র। ইউএনও একজন চৌকস অফিসার। ভাল মানুষ বলেও জানি।
তিনি সব সময় প্রশাসনের পক্ষে আমার ও মাদ্রাসার খোজ খবর নেন।
এসব মিথ্যা অপপ্রচারে প্রশাসন ও দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান তিনি।
ফটিকছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকদের ডেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হেফাজত আমীর।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ফটিকছড়ির ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে অন্যত্র বদলীর জন্য হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী স্বাক্ষরীত একটি দরখাস্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
এ বিষয়ে হেফাজত আমীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি উপরোল্লেখিত মন্তব্য করেন। দরখাস্তটিতে দেখা গেছে, আল জামেযাতুল ইসলামীয়া আজাদী বাজার মাদ্রাসার প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরীও অবহিত নন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার মোহতামীম মাওলানা সালাউদ্দীন নানুপুরী বলেন, হেফাজতের আমীর আল্লামা বাবুনগরী হুজুর বয়স্ক মানুষ। উনাকে ব্যবহার করে অনেকে অনেক কাজ করেন। সে রকম কিছু হয়তো করেছেন। হুজুরের জ্ঞ্যাতসারে এমন দরখাস্ত বা সুপারিশ করার কথা নয়। আর আজাদী বাজার মাদ্রাসার সাবেক মোহতামীমের কাছে এরকম অনেক প্যাড রয়ে গেছে। সেখান থেকেও হয়তো কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে।
তবে, এটি হুজুরের জানামতে স্বাক্ষর কিনা আমি সন্ধিহান।
বিভ্রান্তি চড়াতে এ ধরনের কাজ কেউ কেউ করতেও পারেন।