

শনিবার ● ৮ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » অটোরিকশায় টোকেন বাণিজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
অটোরিকশায় টোকেন বাণিজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই সড়কের রাস্তার মাথা এলাকার মোহরা সিএনজি অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ডে পুরানো ষ্টাইলে আবারও চাঁদাবাজরা টোকেন বাণিজ্য শুরু করার চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ অটোরিকশা চালকরা সড়ক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
শনিবার ৮ মার্চ দুপুরে সড়ক পথের হাটহাজারীর নজুমিয়াহাট, মদুনাঘাট, কুয়াইশ, মোহরার ধুপপোল ও নোয়াপাড়া পথেরহাটে বিক্ষুদ্ধ চালকরা অবরোধকালে সমাবেশ করে চাঁদাবাজদের টোকেন বানিজ্যি স্থায়ী ভাবে বন্ধের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে। অবরোধ কালে চালকেরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
পরে মোহরা এলাকায় আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। অবরোধ করা স্পট সমূহে পুলিশ এসে সড়ক পথ মুক্ত করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা যায়, নোয়াপাড়া পথেরহাটে অবরোধ চলাকালে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসে অটোরিকশাচালকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানায়। তারা যেকোনো মূল্যে মোহরাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৎপর চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অটোরিক্সা চালকের সাথে থাকবেন বলে ঘোষনা দেন। প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই আশ্বাস পেয়ে চালকরা অবরোধ তুলে নেয়। টোকেন বানিজ্য ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের নেতা আবুল কাসেম রানা তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন পতিত স্বৈরচারের দোসররা পলাতক অবস্থা থেকে ফিরে এসে আগের মত আবারো প্রতি সিএনজি চালকের কাছ থেকে মাসিক নয় শত টাকা হারে টোকেন নিতে বাধ্য করছিল। মোহরা কেন্দ্রিক চাঁদাবাজদের জুলুম নির্যাতন ঠেকাতে সিএনজি চালকদের সাথে ভুক্তভোগি সাধারণ মানুষ চালকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাস্তায় নেমেছে।
অটোরিকশাচালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে চট্টগ্রম-কাপ্তাই রাস্তার মাথায় (মোহরা) রাউজান, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাঙামাটির সড়ক পথে চলাচলকারী প্রতি অটোরিকশা থেকে মাসিক আট’শ টাকা করে টোকেন দিয়ে চাঁদা আদায় করতো। ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজরা পালিয়ে গেলে এই টোকেন বানিজ্য বন্ধ হয়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে আগের মতো ‘টোকেন বাণিজ্য’ চালু করে ফিরে আসা চাঁদাবাজরা এখন থেকে দেড় হাজার টাকায় টোকেন নিতে চালকদের বাধ্য করছিল। যারা চাঁদার টোকেন নিতে অস্বীকার করছিল তাদের গাড়ি ও চালককে লাঠি পেঠা করে মোহরা ষ্ট্যান্ড ছাড়তে বাধ্য করে। এমন অবস্থার মধ্যে চালকরা বাধ্য হয়ে প্রতিবাদি কর্মসূচিতে নেমেছে। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থান রয়েছে।
রাউজানে চাঁদাবাজীর সাথে যারা জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।