

রবিবার ● ৯ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ফটিকছড়িতে দলিল জালিয়াতির অপরাধে প্রতারক কারাগারে
ফটিকছড়িতে দলিল জালিয়াতির অপরাধে প্রতারক কারাগারে
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জাল দলিল সৃষ্টি করে অন্যের জমি নিজের নামে করার অপরাধে মো. শফি (৬০) নামের এক প্রতারককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ৯ মার্চ চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এসব অভিযোগে তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবি মো. রিয়াদ উদ্দিন বলেন, ‘আসামী মো. শফি আদালতের কাছে জামিন পরবর্তী সময়ের আবেদন করলে চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।’ আসামী মো. শফি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার দৌলতপুর গ্রামের কুতুব শাহ বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হারুনের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এসব অপকর্ম করে বেড়াতেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। আদালত সূত্র জানায়, মো. শফি গত ১৯৭৭ সালের ৩০ অক্টোবর সম্পাদিত ২৭৫৬ নং দলিল, ১৯৮২ সালের ৩ মে সম্পাদিত ২৮৭ নং দলিল, ১৯৯৯ সালের ২৩ আগষ্ট সম্পাদিত ২৪৭৫ দলিল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালভাবে সৃষ্টি করেন। পরে বিএস নামজারি ০৪-২৮৬/২০১৬ মূলে ৬২৩৮ নং খতিয়ান সৃজন করেন। ২৪৭৫ নং দলিলে আসামি নিজেই অপর ব্যক্তির নাম পরিবর্তন করে এবং তফসিলে ঘষামাজা করে ১১১৫০ নং দাগ উল্লেখ করে প্রতারণার আশ্রয় নেন। ভুক্তভোগী মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘প্রতারক শফি একজন শট, দুর্লোভী ও প্রবঞ্চনাকারী ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এই সব জাল-জালিয়াতি ছাড়াও বিভিন্নভাবে এলাকায় সবাইকে ঝগড়া-বিবাদ, হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। আমরা আদালতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিজ্ঞ আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতারককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমরা এই প্রতারকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।’ চট্টগ্রাম সদর আদালতের পুলিশ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের আদেশনামা পেয়ে আসামীকে পরোয়ানামুলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ফটিকছড়িতে অগ্নিকান্ডে ৩০ টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই
ফটিকছড়ি :: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩০ টি দোকান এবং ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার। শনিবার দিনগত রাতে উপজেলার শান্তিরহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,জলিল সওদাগরের ভাড়া বাসার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে৷ এলাকাবাসী ও ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস দীর্ঘ দেড় ঘন্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। আগুনে জালাল সদাগরের ৪ টি, শেখ আহমদের ২০ টি, দেলোয়ারের ২ টি এবং আক্কাসের ৪ টি সহ সর্বমোট ৩০ টি দোকান ও ঘর পুড়ে যায়।
এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান। ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এতে ফায়ার সার্ভিস এর দুইটি ইউনিট কাজ করেছে । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।