

বুধবার ● ১২ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন : পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং
ঝালকাঠিতে হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন : পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং
গাজী মো গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে গত ৮ মার্চ দেলোয়ার হোসেন মৃধা (৬০) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই একই এলাকার সোহরাব হোসেন নামে একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
এঘটনায় ১ দিন পর ১০ মার্চ মৃতের ছেলে মাহামুদুল হাসান বাবু ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় গ্রেফতার দেখানো আসামী সোহরাব একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে ম্যজিষ্ট্রেটের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
বুধবার ১২ মার্চ এমন তথ্য জানিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়। এ সময় সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান, মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মেহেদি হাসান এবং গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গনমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফ্রিংকালে আসামীর জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায় বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন হত্যা ঘটনার সাথে সোহরাবের জড়িত থাকার প্রমান মিলেছে। সে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। অন্যদিকে মামলার আলামত হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা সহ মৃতের ব্যবহৃত মোবাইল ও ঘটনার সময় আসামীর পরনে থাকা রক্তমাখা প্যান্ট ও গেঞ্জি ঘটনাস্থল সংলগ্ন ডোবা ও আশপাশ হইতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।’
এসপি আরো জানায়, ‘হত্যাকারী সোরহাব হোসেন আকনের বয়স ৪৯ বছর। সে বরিশাল বিমানবন্দর থানার মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত সিরাজুল হক আকনের ছেলে। ঝালকাঠি সদর থানাধীন বিনয়কাঠি ইউনিয়নের গরংগা গ্রামের মৃতত আকবর এর বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলো। দেলোয়ার হোসেনের ঘরে পেনশনের অনেক টাকা আছে ভেবে তাকে হত্যা করেছে সোহরাব।’
মৃতের ছেলে ও মামলার বাদি মাহমুদুল হাসান বাবু বলেন, ‘আমার বাবা দেলোয়ার হোসেন মৃধা সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছে। স্ট্রোক করে জমিজমার পাহাড়ায় বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার আগে পেনশনের টাকা তুলেছিলেন। হত্যাকারী সোহরাব হোসেনের এক আত্মীয়ের কাছে বাবা ৫হাজার টাকার বাঁশ বিক্রি করেছিরো।
ঘটনার ২দিন আগে থেকেই বাড়িতেই কৃষিকাজে দিনমজুরের সহায়তা করছিলো ঐ সোহরাব। সে নেশাগ্রস্ত থাকতো প্রায় সময়ই। ঘরে থাকা টাকা নিতেই সোহরাব আমার বাবাকে হত্যা করেছে।