

সোমবার ● ২৪ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে ৪৪ সিএইচসিপি পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ
ঈশ্বরগঞ্জে ৪৪ সিএইচসিপি পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের ৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় ৪৪ সিএইচসিপি পরিবার বর্গের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ। বেতন বোনাসের জন্য অপেক্ষার প্রহর যেন কাটছে না। রমজান প্রায় শেষের পথে ঈদুল ফিতর সমাগত। এসময়ের মাঝে সিএইচসিপিগণ ঈদের আগে বেতন বোনাস পাবে কি না এ নিয়ে তারা চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা দোঁড়গোঁড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ১৯৯৭/৯৮ সালে ৪২টি এবং ২০২২ সালে ২টিসহ মোট ৪৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। সরকার থেকে প্রতিটি ক্লিনিকে ২২ ধরণের ওষুধ প্রদান করা হয়। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সিএইচসিপিদের ট্রাষ্টের অধীনে যোগদান করানো হয়। ট্রাষ্টে যোগদানের আগে ২০২৪ সালের জুলাই হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস ও চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট ৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে সিএইচসিপিদের পরিবারবর্গ অর্থ সংকটে ভোগছেন। যার ফলে ঠিক মতো কাজে মন দিতে পারছে না সিএইচসিপিরা।
বিখেরুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি বিজন দেবনাথ জানান, ১২ বছর ধরে এক বেতনে চাকুরি করতে হচ্ছে তারপরও ৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
ঘাগড়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার নয়ন মিয়া জানান, এতদিন যাবত বেতন না পাওয়ার পরও সিএইচসিপি নিয়মিত ক্লিনিকে আসছেন তবে বেতন না পাওয়াটা অতীব কষ্টের।
উপজেলা সুজনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের বেতন বন্ধ থাকা অনভিপ্রেত। অবিলম্বে তাদের বেতন বোনাস প্রদান করে স্বাস্থ্য সেবায় গতি ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া তাসনিম মুনমুন জানান, ডিজি হেলথ এর অপারেশন প্লান থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেয়া হতো কিন্তু এখন কমিউটিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাষ্টের অধীনে চাকুরি স্থানান্তরিত হওয়াতে বেতনের সমস্যা হচ্ছে। তবে মান্থলি মিটিং এবং রিপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে নিয়মিত। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।