

রবিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য
সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য
মোস্তফা কামাল রাজু :: এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে খুশির বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর। রমজানের দীর্ঘ এক মাস সংযম, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য উপবাস থাকার পর এই ঈদ মুসলিম উম্মাহর জন্য আনন্দ ও পুরস্কারের দিন। এটি শুধু উৎসব নয়, বরং ধৈর্য, সংযম ও আত্মশুদ্ধির প্রতিদান।
ঈদুল ফিতর ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে মুসলিমরা একত্র হয়ে নামাজ আদায় করেন, যা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্যের প্রতীক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন রোজাদারের জন্য পুরস্কারের দিন।’ এই দিনে জাকাতুল ফিতর প্রদান করা ও গরীব-দুঃখীদের সহযোগিতা করার বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১. আল্লাহর নৈকট্য লাভ: রমজান মাসে সংযম পালন ও ইবাদতের মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর সান্নিধ্যে আসেন এবং ঈদের দিনে এই পরিশ্রমের ফলাফল উপভোগ করেন।
২. ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য: ঈদের নামাজের মাধ্যমে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একই কাতারে শামিল হন, যা ইসলামের সাম্যের শিক্ষা দেয়।
৩. গুনাহ মাফের সুযোগ: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈদের রাতে ও ঈদের দিনে ইবাদতে মগ্ন থাকে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
৪. সুখ-শান্তি ও উদারতার শিক্ষা: ঈদুল ফিতর মানুষকে দানশীল হতে শেখায়, কারণ এদিন ফিতরা প্রদান ও দুঃস্থদের সাহায্য করা হয়।
ঈদুল ফিতর কেবল আনন্দ উদযাপনের দিন নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত প্রতিদান। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় ধৈর্য, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের। এই পবিত্র দিনে আমরা যেন গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করতে ভুলে না যাই এবং ঈদের প্রকৃত শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করি।
ঈদুল ফিতরের
শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক