

সোমবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাউখালীতে ১১টি ভারতীয় গরু আটক
কাউখালীতে ১১টি ভারতীয় গরু আটক
মো. ওমর ফারুক, কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙামাটির কাউখালী থানা পুলিশ গভীর রাতে পাচারকালে ১১টি ভারতীয় গরু সোমবার রাত আড়াইটার সময় মগাইছড়ি নামক এলাকা হতে আটক করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউখালী থানা পুলিশ রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মগাইছড়ি নামক এলাকায় (রাত আড়াইটার সময়) গভীর রাতে ট্রাকে করে পাচারকালে ভারতীয় মোট ১১টি সাদা গরু আটক করে কাউখালী থানায় নিয়ে আসেন। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
এ সময় ট্রাক চালক (ট্রাক নম্বর-চট্টমেট্টো-ট-১১-৩৪৩০) সহ গরু পাচার সিন্ডিকেটর এক সদস্যকে পুলিশ আটক করেন।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গরুগুলি কাউখালী থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং ট্রাক চালক সহ সিন্ডিকেট সদস্য পুলিশের হেপাজতে রয়েছে। তবে আটককৃতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগকে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন যাবত কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এবং পার্শ্ববর্তী রাঙামাটির নানিয়ারচর এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি সিন্ডকেট ভারতীয় গরু পাচারকাজে জড়িত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
তারা ৫ আগস্ট-২০২৪ ইংরেজি তারিখের আগে এবং পরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিপুল পরিমাণ ভারতীয় সাদা এবং লাল (মোটা) গরু পাচার করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এই সিন্ডিকেটে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু দালাল চক্রের সদস্য। যারা দির্গদিন যাবত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।
সূত্র আরো জানায়, গত ৫ আগস্ট /২৪ ইংরেজি এর বেশ কয়েক দিন পর কাউখালী উপজেলার চেলাছড়া রোডে গভীর রাতে ভারতীয় এ সকল (মোটা) সাদা গরুর একটি বড় চালান গভীর রাতে পাচারকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক অস্ত্রধারী গ্রুপের হাতে আটক করা হয়। সেই ভারতীয় গরুর চালান পাচার সিন্ডিকেটর সাথে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে ভারতীয় গরুর চালানটি সেই সময় স্থানীয় গুটিকয়েক স্থানীয় নামদারী বিএনপি নেতার যোগসাজশে গরুর সেই বড় চালানটি চেলাছড়া হয়ে রাঙ্গুনীয়া গাবতলী হয়ে চট্টগ্রাম নির্দিষ্ট স্থানে গোপনে পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরো একটু সতর্ক হলে এসব পাচার রোধে নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিভিন্ন সচেতন মহল মনে করেন।