শিরোনাম:
●   কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   অবিলম্বে মেঘনাকে মুক্তি দিন, ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করুন ●   মার্কিন মদদেই ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যেতে পারছে ●   আত্রাইয়ে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কাগজের ফুল ●   পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান ●   বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক ●   প্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ●   ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ল বিধবার ঘর ●   ১৩ বছর পর জমি দখলে নেয় ভুক্তভোগী, ভিন্নখাতে নিতে অপ-প্রচার ●   দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী ●   রাঙামাটিতে নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার ●   গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হোন - ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি সফল করুন : জুঁই চাকমা ●   বাঙ্গালহালিয়া শিব মন্দিরে ৫ দিনব্যাপী বাসন্তী মায়ের পূজা ●   রাঙামাটি এটিআই শিক্ষার্থীরা ৮ দফা কর্মসূচির ঘোষণা ●   ছেলের দায়ের কোপে আহত মায়ের মৃত্যু ●   সু-প্রদীপ চাকমা রাঙামাটিতে আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ ●   রাঙামাটি বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   এতিম শিশুদের সাথে ঈদ-উল-ফিতর এর আনন্দ ভাগ করে নিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ●   রাঙামাটিতে ঈদের উপহার পেলেন সাড়ে তিন’শ ইমাম মুয়াজ্জিন ●   সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ●   সাইফুল হক দেশবাসীকে ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ●   সু-প্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছে পিসিসিপি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পিসিসিপি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে মতামত জমা দেয়া হয়েছে ●   রাঙামাটিতে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের ঈদ বস্ত্র বিতরণ ●   রাঙামাটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয় আটক ●   রাঙামাটিতে রক্তেভেজা গণঅভ্যুত্থান : পাহাড়ের বৈষম্য বইয়ের মোড়ক উম্মোচন ●   রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু ●   মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি ●   কাউখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
রাঙামাটি, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ৩ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » কিভাবে এল রাঙামাটি চারুকলা একাডেমী
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » কিভাবে এল রাঙামাটি চারুকলা একাডেমী
মঙ্গলবার ● ৩ মে ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কিভাবে এল রাঙামাটি চারুকলা একাডেমী

---
রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা :: জন্ম দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ৷ বিয়াল্লিশের দুর্ভিক্ষ ৷ তখন বিশ্বে এক তৃতীয়াংশ মানুষ মরেছে ৷

পল্লী কবি জসিম উদ্দীনকে দেখেছি ৷ আমি তখন ইউ.পি স্কুলে পড়তাম ৷ তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছি ৷

১৯৬০ সালে কর্নফুলী নদীর কাপ্তাই বাঁধের ফলে আমাদের ডুবে যায় প্রায় ৬০/৭০ একর ১ম শ্রেণীর জমি ৷ ফলে রাইংখ্যং, বিলাইছড়ি থেকে বান্দরবানের বালাঘাটা মৌজায় পুনঃবসতি স্থাপন করি ৷ ১৯৬৩ ইং বান্দরবান মহকুমা সদরে সপ্তাহব্যাপী কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি মেলায় আমার একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ৷ এই কৃতিত্বের জন্য জেলা প্রশাসক এস. জেড খাঁন এম. এ, সি. এস. পি আমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন ৷ ২৭ মার্চ ১৯৬৬ ইং জেলা প্রশাসক এম. এস. রহমান এম.এ, সি. এস. পি চারুকলার কৃতিত্বের জন্য আমাকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করেন ৷ ১লা মে ১৯৬৭, বান্দরবান মহকুমা প্রশাসক এম এ মোতালেব এম.এ, ই.পি.এস কর্তৃক চিত্রকলা অবদানের জন্য আমাকে একটি ঝইইখ বন্দুক প্রদান করেন ৷ ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭০ রাঙামাটি, কৃষি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শনী উপলক্ষে আমার চিত্রকর্ম অবদানের জন্য সন্তুষ্ট হয়ে জেলা প্রশাসক এইচ. টি ইমাম- এম.এ, সি.এস.পি আমাকে নগদ টাকা ও সনদপত্র প্রদান করেন ৷ জেলা প্রশাসক আলী হায়দার খাঁন এম.এ, ই.পি.সি.এস কর্তৃক আমাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন ৷ স্থান- স্বর্নশিলা প্রদর্শনী মাঠ ৷ ১৯৭৯ ইং “রাঙামাটি চারু ও কারুকলা একাডেমী” নামে শিশুদের চিত্রাংকন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করি ৷ রাঙামাটি মৈত্রী বিহারের বারান্দা, কাঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্ধের দিন, রাস্তার ধারে এইভাবে অনির্দিষ্ট স্থানে আমার চিত্রাংকন পাঠশালা শুরু হয় ৷ উদ্ভোধন করেন ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, চাকমা রাজা ৷

১লা জানুয়ারী ১৯৮১ ইং বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আমাকে বঙ্গভবনে কৃতি যুব গুণী সংবর্ধনা দেয়া হয় ৷
---
১৮ই আগষ্ট ১৯৮৪ ইং বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক ফারুক আহমদ এম.এ, ই.পি.সি.এস এর আমন্ত্রণে রাঙামাটি চারুকলা একাডেমীর কৃতি ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে তিনদিন ব্যাপী শিশু চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান করি ৷ বলাবাহুল্য বান্দরবানে এটা সর্ব প্রথম উপভোগ্য অনুষ্ঠান বলা যেতে পারে ৷

২৫শে এপ্রিল ১৯৮৫ চট্টগ্রামের “দৈনিক আজাদী” এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক কর্তৃক চারুকলা একাডেমীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত আটজন শিশুদের সম্মাননা প্রদান করেন ৷ এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজমাতা বিনীতা রায় ৷ স্থান : পৌরসভা হল, রাঙামাটি ৷

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৮৬ ইং বিজয় দিবস উপলক্ষে অঙ্কিত চিত্র দ্বারা সংকলন “চিত্রা” প্রকাশিত হয় ৷ মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম এম.এ, সি.এস.পি মহোদয় ৷

সরকারী-বেসরকারী আর্থিক সাহায্য ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান স্বগৌরবে টিকে রাখার বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক প্রত্রিকায় রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা ও চারুকলা একাডেমী বিষয়ে বহুলভাবে প্রচারিত হয় ৷ দেশের খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, চিন্তাবিদ এমন গুণীজনের আগমনের ফলে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম এম.এ, সি.এস.পি মহোদয়ের এ বিষয়ে সহানুভূতি অনুভূত হয় ৷ আর দেরী নয়, তিনি ৩০৫ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শান্তিময় দেওয়ান, জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তিময় চাকমা এবং মৈত্রী বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমত্‍ বিমলবংশ মহাস্থবির এবং পৌর কমিশনার ইয়ার আহম্মদ চৌধুরীকে নিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আমার থাকার বাসস্থান, রান্না ইত্যাদি সরাসরি পরিদর্শন করলেন নিঃসঙ্গ জীবন, অর্থহীন আর বাসস্থানহীন শিল্পীর পরোপকারী সেবা জীবন ৷ তাঁদের মনের কোঠরে জেগে উঠে সহানুভূতি, বাঁচিয়ে রাখতে হবে শিল্পীকে আর শিল্পকে ৷ ১৯৮৭ ইং সনে আমার নামে খাস জমি ০.১০ শতাংশ বন্দোবস্তী দেওয়া হয় ৷ অর্ধপাকা ভবন নির্মাণ করে দিলেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শান্তিময় দেওয়ান ৷ উদ্ভোধন কালে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম যে ভাষন দিয়েছিলেন তা ৪ঠা অক্টোবর ১৯৮৮ ইং বনভূমি ও গিরিদর্পনে প্রচার হয় ৷ ১লা ফেব্রম্নয়ারী ১৯৮৮ খাগড়াছড়ি জেলার ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইব্রাহিম, জেলা প্রশাসক খোরশেদ আনসার খাঁন এবং স্থানীয় বিশিষ্ট জনের আমন্ত্রণে ৩১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে খাগড়াছড়িতে তিনদিন ব্যাপী শিশু চিত্র প্রদর্শনী ও দুই দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি ৷ এতে বহু মানুষের সমাগম হয় ৷ বলাবাহুল্য খাগড়াছড়িতে জনগণের জন্য সর্বপ্রথম প্রদর্শনী বলা যেতে পারে ৷

১৪ই জুন ১৯৯০ ইং সালে ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, চাকমা রাজা কর্তৃৃক গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয় ৷ প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আফতাব উদ্দীন ৷ স্থান : উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙাামাটি ৷

১২ই ডিসেম্বর ১৯৯৪ “দৈনিক রাঙামাটি” পত্রিকা “রাঙামাটি চারুকলা একাডেমীর” ৮ম চিত্র প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয় ৷

১লা জুলাই ২০০১ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ঢাকা এর আয়োজনে দেশের শ্রেষ্ঠ চিত্র শিল্পীদের আঁকা পাঁচদিন ব্যাপী ভ্রাম্যমান চিত্র প্রদর্শনী “রাঙামাটি চারুকলা একাডেমীতে” অনুষ্ঠিত হয় ৷

১লা জানুয়ারী ২০০২ চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদ এর সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিশু অধিকার সপ্তাহ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার কাতেবুর রহমান এর আমন্ত্রণে আমি ছিলাম সম্মানীত আলোচক ৷

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আফতাব উদ্দীন খাঁন, জেলা প্রশাসক শাহ আলম ও জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী চারুকলা একাডেমীর ক্লাস কক্ষে প্রবেশ করে শিশুদের ভীড়ে বসে ছবি আঁকতেন এবং উত্‍সাহ দিতেন ৷

রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ৫৪তম জেলা প্রশাসক ডঃ জাফর আহম্মদ খাঁন কর্তৃক প্রণীত “রাঙামাটি বৈচিত্রের ঐকতান” পুস্তকে রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যার শৈল্পিক অবদানের কথা উল্লেখ রয়েছে ৷

২০ জুন ২০০৫ ইং ভারতীয় হাই কমিশনার বীনা সিক্রী চারুকলা একাডেমী পরিদর্শন করেন ৷

সমাজকল্যান ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় দলের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ৯বার এবং বিভাগীয় প্রতিনিধি হিসাবে ঢাকায় ২বার মনোনীত হয়েছি ৷

১৪ই জুলাই ২০০৭ইং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরীক্ষিত ব্যাক্তি হিসেবে রাঙামাটি জেলা পরিষদের আমি একজন সদস্য ছিলাম ৷
---
রাঙামাটি চারুকলা একাডেমী এর ছাত্র-ছাত্রীরা ৬৪টির অধিক বাংলাদেশ জাতীয় পুরস্কার, ঢাকা, আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের পুরস্কার লাভ করে এবং দেশব্যাপী তা প্রচার হয় ৷ প্রত্যক্ষভাবে দেখতে এসেছিলেন, আন্তর্জাতিক ও দেশবরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি ৷ এস এম সুলতান, রফিকুন নবী (রণবী), নিলুফার জামান, হামিদুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক, এনামুল হক এনাম, মুর্ত্তজা বশীর, অলক রায়, কাইয়ুম চৌধুরী, হাসেম খান, তুষার সহ আরো অনেকে এবং ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী দল ৷

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. রহিম, কবি শামসুর রহমান, জাতীয় গ্রন্থাগারের যুগ্ম সচিব নূরহোসেন তালুকদার প্রমূখ ৷ দেশ স্বাধীন হবার পর বরণ্য শিল্পী কামরুল হাসান রাঙামাটিতে এসেছিলেন ৷ আমি তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘুরেছি ৷

২৭শে মার্চ ২০০৮ ইং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা, সেনা বাহিনীর প্রধান, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ও বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম এসেছিলেন রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি অডিটরিয়ামে তিন পার্বত্য জেলার মুখ্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করতে৷ সাথে তাঁদের ৪জন স্ত্রী ৷ সেই ৪ জন মহিলার দেখা শোনার দায়িত্ব ছিল আমার একা ৷ যাদুঘরে প্রায় দুই ঘন্টা আলাপ হয় ৷ ও সময় আমি প্রধান উপদেষ্ঠার স্ত্রীর কাছে পার্বত্য এলাকায় মোবাইল ফোন চালু করার অনুরোধ করলে তিনি এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিশ দিনের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় মোবাইল ফোন চালু হয় ৷ ওসময় আমি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ছিলাম ৷

১৪ই এপ্রিল ২০১৫ইং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আদেশে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ডঃ রনজিত্‍ কুমার বিশ্বাস কর্তৃক আমাকে চারুশিল্প অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয় ৷ স্থান : অডিটরিয়াম হল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান ৷

সর্ব প্রথম চারুকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করে সুদীর্ঘ চল্লিশ বত্‍সরের কঠিন আত্মত্যাগ, অত্যাচার ও অসহনীয় অভাবের মধ্যে এককভাবে সুদৃঢ়ভাবে পরিচালনা করছি ৷ শত সহস্র শিশুদের চারুশিল্পের কর্মবৃত্তি, বোধশক্তি ও ক্রিয়া সঞ্চালন করেছি ৷ দেশে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুনাম একমাত্র আমার পরিস্ফুটনের মাধ্যমে তাদের জয়যাত্রা ৷ এ বিষয়ে কোন বুদ্ধিজীবি, নেতৃবৃন্দ বা সমাজসেবীরা আমার পাশে আসেননি ৷ আমাকে এবং আমার চারুকলা একাডেমীর জন্য কেউ এক টাকা সাহায্য করেননি ৷ তবে পরামর্শ দেয়ার মানুষের অভাব ছিলনা ৷ এবং তাদের সদস্য হওয়ার প্রবল ইচ্ছা আর তারা গঠনতন্ত্র প্রনয়ন করতে চায় !! কিন্তু কেন ?

পৃথিবীতে সংবিধান ছাড়া কয়েকটি দেশ আছে ৷ দেশে গঠনতন্ত্র ছাড়া বহু উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৷ সংবিধান বা গঠনতন্ত্র ছাড়া জাতি, গোষ্ঠি বা সমাজ সংস্কৃতি এখনও বিদ্যমান রয়েছে ৷ তবে তাদের মধ্যে রয়েছে পরোপকারী চিন্তা, ঐক্যতা আর সেবা মনোভাব ৷

শিশু নিষ্পাপ, কোমলমতি ও পবিত্র৷ তাদের জন্য শিক্ষা, সেবা, ভালবাসা আর অধিকার প্রয়োজন ৷ তাদের জন্য কঠিন আইন বা গঠনতন্ত্রের ধারা নয় ৷ হাতি বান্ধা কাঁছি দিয়ে বেঁধে গঠনতন্ত্র প্রনয়ন করা অথবা পাথর ভাঙ্গা হাতুড়ী মুগুরের আঘাতের গঠনতন্ত্র নয় ৷ সুতরাং আর গঠনতন্ত্র নয় ৷ আমার একক প্রচেষ্ঠায় রাঙামাটি চারুকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছি ৷ আমার নামীয় বন্দোবস্তী জমি, আমার প্রচেষ্ঠায় ঘর, আমার একক পরিচালনায় পরিচালিত ৩৭ বত্‍সসর এই চারুকলা একাডেমী ৷ সুতরাং আমার পরিচালনায় থাকবে চারুকলা একাডেমী, প্রয়োজনে আমি প্রশাসনের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে যাব ৷ জেলা প্রশাসক, রাঙামাটি মহোদয় থাকবেন পৃষ্ঠপোষকতায়, আমি দায়িত্বে থাকব পরিচালনায় এবং প্রয়োজনে সদস্য নেয়া হবে পরামর্শের মাধ্যমে৷

লেখক : রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা
প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ
রাঙামাটি চারুকলা একাডেমী।
তারিখ : ৩ মে ২০১৬ ইংরেজি।





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান
সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য
পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)