শনিবার ● ৭ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গা’বাসী লো-ভোল্টেজ থেকে মুক্তি চায়
মাটিরাঙ্গা’বাসী লো-ভোল্টেজ থেকে মুক্তি চায়
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি : : (২৪ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫৫মিঃ) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ মহামারীতে অতিষ্ট প্রায় ৭-৮ হাজার বিদ্যুত্ গ্রাহক৷ বিদ্যুত্ এর ঘন ঘন লোডসেডিং এ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে গ্রাহকরা৷ গত কয়েক মাস সকালে বিদ্যুত্ সরবরাহ হলেও তা আসা-যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে৷ ফলে অচল হয়ে পড়েছে পুরো মাটিরাঙ্গার জনজীবন৷ সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে মাটিরাঙ্গার কর্মজীবি, শিক্ষার্থী, গৃহিনী ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ গ্রাহকরা৷ পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় রান্না-বান্নায় বিঘ্ন হচ্ছে৷ ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্যসামগ্রী পঁচে যাচ্ছে৷ হাসপাতালগুলোতে চিকিত্সা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে৷ বন্ধ হয়েছে অনেকের সেল ফোন৷ এমনিতে মাটিরাঙ্গায় দিনে রাতে চলে ৪-৬ ঘন্টা লোড শেডিং সাথে যোগ হয়েছে লো-ভোল্টেজ মহামারী আকারে৷ মাটিরাঙ্গা বাজার হাজী হোটেলের স্বত্বাধিকারী মো: মাহবুবুল আলম জানান,লো-ভোল্টেজের কারণে প্রায়ই ফ্রিজগুলো নষ্ট হয়ে যায়৷ প্রতিমাসে ফ্রিজ মেরামত বাবতে অনেক টাকা বাড়তি খরচ হয়৷ এছাড়াও সদ্য ক্রয়কৃত পানি তোলার মটরগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে৷ লো-ভোল্টেজের কারনে বাল্বগুলো পর্যনত্ম আলো দেয় না পযর্াপ্ত পরিমানে৷ ফলে প্রায় সময় জেনারেটরের উপর নির্ভর করতে হয়৷ এ বিষয়ে বরফ তৈরি কারখানার মালিক মো: কামাল হোসেন জানান,গত কয়েক মাসের টানা লোড-শেডিং আর লো-ভোল্টেজে বরফ তৈরির মেশিনটি একাধিক বার মেরামত করতে হয়েছে যাতে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা লোকশান গুনতে হয়েছে৷ মোবাইল সার্ভিসিং দোকানদার মো: সোহেল রানা জানান,মোবাইল চেকিং সহ যে কোন অর্থনৈতিক কার্যক্রম করতে না পারায় প্রতিদিন গড়ে ৫০০ টাকা লোকশান হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসায় ধস নামতে পারে ৷ এ বিষয়ে গ্রীল ওয়ার্কসপ মালিক মো:মনির হোসেন জানান,গত মাস খানেকের লো-ভোল্টেজকে মহামারীর সাথে তুলনা করে বলেন,এ মহামারীতে আমার প্রায় লৰাধিক টাকার মেশিনারিজ পুড়ে অকেজো হয়েছে৷ এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা বিদ্যুত্ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো: আমান উলস্নাহ চৌধুরী’কে বিকাল ৫ টার দিকে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি৷ বিদ্যুত্ বিতরণ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, তিনি মাসের অধিকাংশ সময়ই ষ্টেশনে থাকেন না৷ মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিদ্যুত্ গ্রাহকরা এ পরিস্থিতির অবসান চেয়েছেন৷ এ বিষয়ে নবীনগর এলাকাবাসী জানান,৭০ হাজার টাকা লো-ভোল্টেজ সমস্যা সমাধানে জন্যে মাটিরাঙ্গার বিদ্যুত্ আবাসিক প্রকৌশলীকে দেয়া হলেও বাসত্মবিক অর্থে কোন ফল না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ সচেতন মহল মনে করেন,দ্রম্নত সময়ের মধ্যে যদি লো-ভোল্টেজ মহামারী সমস্যার সমাধান করা না হয় তাহলে অতিষ্ট বিদ্যুত্ গ্রাহকরা যে কোন সময় ফুসে উঠতে পারে বলে আশংঙ্খা প্রকাশ করেন৷