রবিবার ● ৮ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » সরকার পার্বত্যঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
সরকার পার্বত্যঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা প্রতিনিধি :: (২৫ বৈশাখ ১৪২৩: বাংলাদেশ সময় বেলা ১.১০মিঃ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সরকার পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছে, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি । ইতোমধ্যে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সে অঞ্চলে সংঘাত বন্ধ করেছি। নানা অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। আর যেটুক বাকি আছে, আমরা সব করে দেবো।
এসময় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে সবাই যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। তারা আমাদের স্বজন, আমাদের লোক। তাদের দেখাশোনা তো আমাদেরই করতে হবে।
৮ মে রোববার সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তি ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন দুই একরের নির্ধারিত স্থানে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবন গড়ে ওঠবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কমপ্লেক্সে এসে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন বুঝতে পারে, এটাই তাদের এলাকা। সেভাবেই এই কমপ্লেক্স করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নেও কাজ করছি। এ অঞ্চলে পর্যটকরা যেন আরও বেশি আকৃষ্ট হন, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলের উন্নয়নে আমরা নজর দিয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা রাস্তা করে দিয়েছি, চাষাবাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ব্রিজ করেছি। একহাজার কিলোমিটার রাস্তা করেছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি। ৮৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি প্রত্যকে ঘরের বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য। কারিগরি প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছি, যেন ছেলেমেয়েরা শিক্ষা নিতে পারে।
তিনি স্মরণ করে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে একসময় সংঘাত ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই সংঘাত বন্ধে শান্তিচুক্তি করেছে। অথচ বিএনপি সেই শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেছিল। তারা হরতাল ডেকেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে যখন অস্ত্র সমর্পণের আয়োজন করা হয়, তখন বিএনপি হরতাল ডাকে। তারা বলেছিল অস্ত্র সমর্পণ করা যাবে না। বিএনপি নেত্রী সেসময় বলেছিলেন, এই চুক্তি হলে নাকি ফেনী থেকে পুরো পার্বত্যাঞ্চল ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। দেশের ভেতর থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা হয়েছে। কেন হয়েছে তাও জানি না, তবু সেই চুক্তি হয়েছে। পার্বত্যঞ্চলে শান্তি ফিরেছে।
‘আমাদের সঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের সুসম্পর্ক ছিল এবং আছে। যে কারণে শান্তিচুক্তি করা সম্ভব হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি হয়েছিলো। যদিও শান্তিচুক্তি এতো সহজ ছিলো না। পাহাড়ি অঞ্চলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে হয়েছে। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা আমরা বাস্তবায়ন করেছি।‘
শান্তিচুক্তি হলেও ২০০১ বিএনপি ক্ষমতায় এসে পার্বত্য অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক দেয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন নেটওয়ার্ক দেয়নি জানি। আমরা ক্ষমতায় এসে সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করেছি।
‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা চারবার সেখানে গিয়েছিলেন। তিনিও পার্বত্য অঞ্চলের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরাও পার্বত্য অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। পার্বত্য অঞ্চলে নতুন নতুন ইউনিয়ন ও উপেজেলা করে দিচ্ছি। যেন ওই অঞ্চলে মানুষ সহজে সেবা পেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, প্রমুখ।