রবিবার ● ৮ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পাহাড়ে অবিশ্বাস ও সন্দেহ ক্রমশ বাড়ছে : সন্তু লারমা
পাহাড়ে অবিশ্বাস ও সন্দেহ ক্রমশ বাড়ছে : সন্তু লারমা
ঢাকা প্রতিনিধি :: (২৫ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০০মিঃ) প্রায় দুই দশক আগে হওয়া পার্বত্য শান্তিচুক্তির ‘পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায়’ পাহাড়ে ‘অবিশ্বাস ও সন্দেহ’ ক্রমশ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।
রোববার ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তি ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য শান্তিচুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, উদ্বেগজনক, হতাশাব্যাঞ্জক। অবিশ্বাস ও সন্দেহের দূরত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে; পার্বত্যবাসীর মনে হতাশা ও নিরাশা চেপে বসেছে।”
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটে।
সরকার ওই চুক্তি বাস্তবায়নে ‘আন্তরিক’ নয় বলে এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন সন্তু লারমা।
তিনি বলেন, পার্বত্যবাসী ‘নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভাবনায়’ বিপর্যস্ত। জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিৎ।
“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব হল, তেমনি ভাবে তার বিজ্ঞ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যারও যথাযথ সমাধান হতে পারে।”
চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যাবলীর সকল দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান নির্বাহী আদেশে হস্তান্তর করা, আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট আইনগুলো সংশোধনসহ বেশ কিছু শর্ত এখনো পূরণ করা হয়নি বলে জনসংহতি সমিতির অভিযোগ।
ওই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে প্রতি বছরই পাহাড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন।
চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি দাতা সংস্থা ইউএনডিপি - সিএইচটিডিএফ এর অর্থায়নে এই দাবিতে বান্দরবানের ঘুনধুম থেকে খাগড়াছড়ির দুদুকছড়া পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার মানববন্ধন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাখা এবং সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক।